মমতার মায়ের হাতে শুরু পুজো এ বার ৪৭ বছরে পা রেখেছে। সে কথা জানিয়ে বুধবার নিজেই প্রতিমার ছবি সমাজমাধ্যমে এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই পুজোর আয়োজনেই বৃহস্পতিবার দিনভর ব্যস্ত ছিলেন তিনি। ভাই, ভ্রাতৃবধু, তাঁদের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে অন্যান্য বছরের মতোই দুপুরের পর থেকেই পুজোর নানা কাজে হাত লাগিয়েছেন মমতা। তার মধ্যেই শুরু হয়ে যায় অতিথিদের যাতায়াত। সন্ধ্যায় কালীঘাটে বাড়ির পুজোয় এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। চোখের অস্ত্রোপচার সেরে দু’দিন আগে দেশে ফিরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। চিকিৎসকদের পরামর্শে দিনকয়েক কিছু বিধিনিষেধে থাকতে হচ্ছে তাঁকে। মেয়ের হাত ধরে কালো চশমা চোখেই সন্ধ্যায় পুজোর আসরে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পুজোয় এ বার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় একটু কম ছিল নেতা-মন্ত্রীদের। তুলনায় বেশি চোখে পড়েছে আমলা ও পুলিশ-কর্তাদের। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, শশী পাঁজা, ইন্দ্রনীল সেন ছিলেন আগাগোড়া। অন্য দু-এক জন এসে চলে গিয়েছেন। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে অবশ্য লাইন পড়ে গিয়েছিল আমলাদের গাড়ির। সকন্যা মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ সরকারের শীর্ষ স্থানীয় একাধিক আমলা চলে আসেন সন্ধ্যায়। রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের দুই সর্বোচ্চ কর্তা রাজীব কুমার ও মনোজ বর্মা এসেছেন সপরিবার। ছিলেন জাভেদ শামিমের মতো শীর্ষ স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকেরাও। দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, জয়প্রকাশ মজুমদার, কুণাল ঘোষ প্রমুখ।