অভিযোগকারিণী মহিলা গত দেড় বছর ধরে নাদিয়াল থানায় কর্মরত। হরিদেবপুরের বাসিন্দা হলেও থানার ব্যারাকের একটি ঘরে মাঝেমধ্যে থাকতেন তিনি। লিখিত অভিযোগে মহিলা জানান, গত ১৯ থেকে ২৮ অক্টোবর তিনি ব্যক্তিগত কারণে ছুটিতে ছিলেন। ২৯ তারিখ সকালে কাজে যোগ দেন। দুপুরে পোশাক বদলাতে ব্যারাকে যান তিনি। তাঁর অভিযোগ, ব্যারাকে নিজের ঘরে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, কয়েক জন মহিলা কনস্টেবলকে সেই ঘর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি, ঘরের ভিতরে অন্যদের জিনিসপত্রও রাখা হয়েছে। অভিযোগে মহিলা জানিয়েছেন, পরদিন, অর্থাৎ বুধবার তিনি নাদিয়াল থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসিকে বিষয়টি জানান। কিন্তু সুরাহার বদলে ওসি তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন। ঘটনার কথা জানিয়ে নগরপাল ও বন্দর ডিভিশনের উপ-নগরপালের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই মহিলা।
ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন সকাল থেকে নাদিয়াল থানার সামনে ধর্নায় বসেন ওই পুলিশকর্মী। থানার বাইরে এক মহিলা পুলিশকর্মীর ধর্নায় বসার খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। থানার বাইরে ভিড় করেন লোকজন। ঘণ্টা দুয়েক ধর্না চলার পরে ওই মহিলাকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দেশ অমান্য করায় বুধবারই ওই এসআইকে ক্লোজ় করা হয়েছিল। এক কর্তার কথায়, ‘‘ওসির বিরুদ্ধে মহিলা পুলিশকর্মীর অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, যৌন হেনস্থার অভিযোগ আমরা পাইনি।’’