রাজ্যের পাঁচ মেডিক্যাল কলেজে শুরু ‘সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম’, বাকি হাসপাতালে কবে?
প্রতিদিন | ০১ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতিতে সরকারি হাসপাতালে শুরু হল ‘সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম’। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ১ নভেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার রাজ্যের পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজে এই ব্যবস্থা চালু হল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এসএসকেএম, এনআরএস, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে এই ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। সঙ্গে ব্লক হাসপাতালগুলোকে অনলাইনে যুক্ত করা হয়েছে। বাকি ২৩টি মেডিক্যাল কলেজে আগামী ডিসেম্বর থেকে এই ব্যবস্থা চালু হবে বলে খবর।
কীভাবে কাজ করবে সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম? সুবিধাই বা কী? স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতার পাঁচ মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে জেলার হাসপাতালগুলোকে যুক্ত করা হয়েছে। অনলাইন রেফারেল সিস্টেম এমন একটা ব্যবস্থা যে আউটডোরে বসেই সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক বুঝে নিতে পারবেন, তাঁর বিভাগে কতগুলি বেড ফাঁকা আছে। আবার জেলা বা ব্লক হাসপাতালগুলি যুক্ত হওয়ায় তারাও বুঝতে পারবে, কোন মেডিক্যাল কলেজ বা হাসপাতালে কত বেড ফাঁকা আছে। সেই বুঝে রোগীদের রেফার করা হবে।
এক্ষেত্রে ব্লক ও জেলা হাসপাতালগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক দেখে নেবেন, কোন হাসপাতালে রোগী পাঠানো উচিত। ধরা যাক, বাদুড়িয়া ব্লক হাসপাতালে সেরিব্রাল স্ট্রোকের কোনও রোগীকে আনা হয়েছে। বাঙ্গুর হাসপাতালের সঙ্গে অনলাইনে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ইঞ্জেকশন-ওষুধ দিয়ে রোগীকে বাঙ্গুরেই পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া যাবে। ঘটনা হল, এই সিস্টেমে রোগীর হাতে একটা ‘চিরকুট’ দেওয়া হবে, যেখানে বেড নম্বর লেখা থাকবে। রোগীকে বাঙ্গুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলেই সংশ্লিষ্ট বা কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীকে ভর্তি করে নেবেন। এর ফলে হাসপাতালে রেফারের ক্ষেত্রে রোগীর পরিজনদের ক্ষোভ থাকবে না। তাঁরাও জেনে যাবেন, যে কোন হাসপাতালে নিজেদের রোগী ভালো চিকিৎসা পাবেন। চিকিৎসকদের উপরেও চাপ কমবে।
উল্লেখ্য, অক্টোবরে রাজ্যে শুরু হয়েছিল সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেমের পাইলট প্রজেক্ট ৷ সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে এক রোগীকে এই কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্য়বস্থার মাধ্যমে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল ৷ এ মাস থেকে ৫ মেডিক্যাল কলেজে এই ব্যবস্থা চালু হলেও এখনই ডিসপ্লে বোর্ড বসানো হচ্ছে না। নতুন বছরের আগেই সেই কাজ হয়ে যাবে বলে খবর। এই সিস্টেম চালু করে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন, এমনই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর মাধ্য়মে স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি প্রভাবশালীর কোনও ব্যক্তির সাহায্যে সুবিধামতো বেড পাওয়ার ‘রীতি’ চিরতরে বন্ধ করতে চাইছে নবান্ন।