নেতাজির নামে কলকাতা, বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন নাম কী হবে?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ নভেম্বর ২০২৪
কলকাতা বিমানবন্দরের একটা আসল নাম আছে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।এবার প্রশ্ন বাগডোগরা বিমানবন্দরে নাম কী হবে? এতদিন ধরে এই বিমানবন্দর বাগডোগরা বিমানবন্দর বলেই পরিচিত। সর্বত্র এটাই লেখা হয়। অর্থাৎ বাগডোগরায় অবস্থিত বলে এটা বাগডোগরা বিমানবন্দর। কিন্তু এবার সেই বিমানবন্দর একেবারে আন্তর্জাতিক মানের হতে চলেছে। সেক্ষেত্রে এবার সেই বিমানবন্দরের নাম নিয়ে চর্চা একেবারে তুঙ্গে।
এদিকে বণিকসভা সিআইআইয়ের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এনিয়ে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তাঁরা চিঠি পাঠাবেন। বাগডোগরা বিমানবন্দরের নাম বদলের আবেদন জানিয়ে এই চিঠি পাঠানো হবে। এদিকে পর্যটন ব্যবসায়ীরাও চাইছেন বাগডোগরা বিমানবন্দরের নামের পরিবর্তন হোক।
তবে এই পরিবর্তনের সঙ্গে যাতে শিলিগুড়ি নামটা যুক্ত করা যায় সেব্যাপারেও আবেদন করা হবে। কারণ বাগডোগরা নিতান্তই একটা আঞ্চলিক নাম। তবে তার পরিসর অত্যন্ত স্বল্প। তবে শিলিগুড়ি নামটার সঙ্গে পরিচিত অনেকেই। সেক্ষেত্রে বাগডোগরা ঠিক কোথায় সেটা নিয়ে অনেকেরই বিভ্রান্তি থাকে। সেক্ষেত্রে নামের সঙ্গে শিলিগুড়ি থাকলে বোঝার সুবিধা হবে। তবে দার্জিলিং লিখলে আবার পাহাড়ের কোনও বিমানবন্দর বলে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।
মূলত দুটি নাম নিয়ে জোর চর্চা হচ্ছে। একটা হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর অপরটি হল তেনজিং নোরগে। দার্জিলিং পাহাড়ের মংপু রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত। সেই বিষয়টিকে সামনে এনে রবীন্দ্রনাথের নামে করা যেতে পারে। অন্য়দিকে দার্জিলিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এভারেস্ট বিজয়ী তেনজিং নোরগের নাম। তাঁকে স্মরণ করা যেতে পারে। তবে নিয়ম অনুসারে গোটা বিষয়টি নির্ভর করছে দিল্লির উপর। কেবলমাত্র আঞ্চলিক বা রাজ্যস্তর থেকে প্রস্তাব পাঠানো যেতে পারে।
ঢেলে সাজানো হচ্ছে বাগডোগরা বিমানবন্দরকে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস, ইমিগ্রেশনের মতো অফিস দরকার। সেই সব অফিস খোলা হচ্ছে বাগডোগরা বিমানবন্দরেও। কাস্টমস, ইমিগ্রেশনের অফিসও খোলা হবে বাগডোগরায়। এদিকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাভাবিকভাবেই বিমানের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। তার জেরে রানওয়েকেও সম্প্রসারিত করা হবে। সেই সঙ্গেই হ্যাঙ্গারের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে।
সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে ৭০ হাজার ৩৯০ বর্গমিটার আয়তনের একটা নতুন টার্মিনাল তৈরি করা হবে। আগামীদিনে আরও ৫০ হাজার বর্গমিটার সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রস্তাবিত বিমানবন্দরে বছরে ১০ মিলিয়ন যাত্রীর ধারণক্ষমতা থাকবে। টার্মিনালটিতে এ-৩২১ বিমানের জন্য দশটি পার্কিং ব্যবস্থা, দুটি লিঙ্ক ট্যাক্সিওয়ে, মাল্টি লেভেল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। সব মিলিয়ে এই বিমানবন্দরকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন বুনছে উত্তরবঙ্গ।