• ‘পড়তে বসলাম, যুদ্ধ এগিয়ে নিয়ে যান…' বিরতিতে যাওয়ার আগে বার্তা জুনিয়র ডাক্তারের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ নভেম্বর ২০২৪
  • দীর্ঘ আন্দোলন। দিনের পর দিন ধরে তাঁরা বসেছিলেন রাজপথে। দিনের পর দিন ধরে অনশন। দাবি আদায়ের জন্য মরণপণ লড়াই। এক অন্যরকম আন্দোলন দেখেছিল বাংলা। তবে অনশন উঠে গিয়েছে। খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বার বার বলেছেন, আপনাদের পরীক্ষা এসে গিয়েছে। তবে ঠিক মুখ্য়মন্ত্রীর কথা শুনে নয়, নিজেদের তাগিদে, প্রতিবাদকে আরও শানিত করতে, নিজেদের শিক্ষাকে আরও উন্নত করতে এবার পড়াশোনায় মন দিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। সামনেই তাঁদের অনেকেরই এমএস ও এমডির পরীক্ষা। কিন্তু আন্দোলনের কারণে স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা পড়াশোনা থেকে কিছুটা বিরতি নিয়েছিলেন। তবে আন্দোলনের ফাঁকেও পড়াশোনাও করেছেন কেউ কেউ। তবে এবার কয়েকদিন একেবারে পড়াশোনায় ফিরতে চান তাঁরা। কারণ শিয়রে পরীক্ষা।

    আন্দোলনের অন্যতম মুখ আসফাকুল্লা নাইয়া। তিনি ফেসবুকে একটা বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন,

    'বন্ধুগণ ,

    প্রায় ৩ মাস রাস্তায় রাস্তায় আমরা সবাই মিলে ,একসাথে ,একই পথে, এক সঙ্গে ,এক সুরে ,কাঁধে কাঁধ ,পায়ে পা মিলিয়ে অন্যায় এর বিরুদ্ধে লড়ছি । অনেক কিছু ছিনিয়ে এনেছি ।অনেক কিছু পাইনি ।অনেকিছু হারিয়েছি । নারীশিক্ষা ,শিক্ষা ,সুরক্ষা কে অধিকার হিসাবে বলতে গিয়ে নানা কথা ,বক্তৃতা দিয়েছি ।আমার বোনদের এর উপর যারা অত্যাচার করে তারাও অনেক ব্যঙ্গ ,তামাশা করেছে সেটাও শুনেছি ।

    বিচার বিচার এর শব্দে কারও চেয়ার নড়ছে কিনা জানিনা কিন্তু কোনো চেয়ার এর ভয়ে বিচার থেকে আমাদের কেউ নড়াতে পারেনি ,পারবেনা ।

    তারপর ও সামনে MS/MD exam. আমাদের কয়েকজন কে পড়াশুনা করতে বসে পড়তে হল ।হয়তো বেশ কয়েকজন কে বেশ কয়েকদিন দেখতে পাবেননা কিন্তু আন্দোলন চলছে এবং চলবে এটা ভুলে যাবেননা । যাদের exam এখনই নেই তারা এবং আপনারা মিলে এ যুদ্ধ আগিয়ে নিয়ে যাবেন আশা রেখে পড়তে বসলাম ।

    শিক্ষিত দের হাতে ক্ষমতা থাকুক বা না থাকুক ।শিক্ষার যে ক্ষমতা আছে এটা প্রতিষ্ঠিত হোক ।

    আশীর্বাদ করুন।

    সঠিক শিক্ষা না থাকলে ।

    সঠিক প্রতিবাদ করা যায়না ।'

    লিখেছেন আসফাকুল্লা নাইয়া। আন্দোলনের অন্য়তম মুখ। আসলে বাংলার বহু মানুষ যখন জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন তেমনি অনেকে আবার কটাক্ষ করেছেন। চেষ্টা করেছেন ব্যঙ্গ করে এই আন্দোলনকে কীভাবে দমিয়ে দেওয়া যায়। এবার যখন কয়েকজন আন্দোলনকারীকে মিছিলে দেখা যাবে না তখন আবার শুরু হবে খোঁচা। সেকারণে আগে ভাগেই বার্তা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)