সদ্য দুর্গাপুজোয় মহাষ্টমীর দিন সন্ধিপুজোর আরতির পর দেবী প্রতিমার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ তথা বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার কালীপুজোর আসরেও অঝোরে কাঁদতে দেখা গেল তাঁকে। এবারেও দেবী মূর্তিকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন কল্যাণ।
শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদিবাড়ি বাঁকুড়ায়। বাঁকুড়ার দোলতলায় তাঁর আদি বাড়িতে পুজোতে ছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নিজের হাতে মা কালীকে পুজো করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু কি পুজো? পুজোর আগে, পুজোর জোগাড় থেকে শুরু করে, আরতি সবটাই নিজের হাতে করেন কল্যাণ। পুজোর মধ্যে তিনি আবেগ প্রবণ হয়ে পড়েন। কালীপুজোর সময় দেবী মূর্তিকে জড়িয়ে ধরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। দেবী মূর্তি জড়িয়ে ধরে তিনি অঝোরে কাঁদতে থাকেন। কালী পুজোর সময় প্রতিবছরই বাঁকুড়ার দোলতলায় নিজের বাড়িতে ফেরেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়মের অন্যথা হয়নি এবারেও। গতরাতের পর আজ দুপুরেও তিনি নিজের বাড়ির কালীমন্দিরে পুজোয় বসেন। সেখানেই ঘটে যায় এই ঘটনা।
এদিকে, পুজোয় আয়োজনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা কোনও নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও তাঁকে এভাবে দেখা যায়। শ্রীরামপুরের একটি দুর্গাপুজোর প্রধান পৃষ্ঠপোষক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি পুজোপাঠ প্রত্যেক বছরই করেন। আগেও পুজো করার সময় কাঁদতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। চলতি বছরেও দুর্গাপুজোর সময় কাঁদতে দেখা যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দুর্গাপুজোর আরতি করার সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রোচ্চারণ করছিলেন। তখনই তিনি বলেন, ‘শরণাগত দিনার্ত পরিত্রায়ণ পরায়নে সর্বস্বার্থে হরে দেবী নারায়ণী নমস্তুতে।’ এই মন্ত্র উচ্চারণ করতে করতেই দেখা গিয়েছিল, হাউ হাউ করে কাঁদছেন দাপুটে সাংসদ তথা বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০৮টি পদ্ম আর প্রদীপ সাজিয়ে দেবী দুর্গার আরাধনা যখন চলছে তখন চোখের জলে ভেসেছিলেন কল্যাণ। দাপুটে আইনজীবী হওয়ার পাশাপাশি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একজন তাবড় তৃণমূল নেতা। নানান কারণে তিনি বিতর্কের মাঝে থেকে যান। কখনও সংসদে 'চু কিতকিত' মন্তব্য, আবার কখনও যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বাদানুবাদ চলাকালীন সামনে রাখা বোতল ভাঙেন কল্যাণ, এমন নানান ঘটনা ঘিরে বহুবারই খবরের শিরোনামে এসেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দেবীমূর্তি ছুঁয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে ফের খবরে কল্যাণ।