হাসপাতালের একটি সূত্রে খবর, পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবের কারণে স্যালাইনের বোতল এক বার ব্যবহারের পরে পুরো নষ্ট করা সম্ভব হয় না। কিন্তু একটি বোতল এক বার ব্যবহারের পরে দুমড়ে-মুচড়ে ফেলে দেওয়াই নিয়ম। সেটা না-হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য বাইরে বিক্রি করার অভিযোগ উঠছে ‘একটি চক্রের’ বিরুদ্ধে।
বিষয়টি জানার পরে নড়েচড়ে বসেছেন হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অনাদি রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, অভিযোগ তাঁরও কানে গিয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আগেও এমন অভিযোগ উঠেছে। এ সব নজরদারির জন্য আমরা এখন নিরাপত্তারক্ষী রেখেছি। আর ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটবে বলে মনে হয় না। তবে আমি নজর রাখছি।”
উল্লেখ্য, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে যুবতী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রেক্ষিতে একই রকম অভিযোগ উঠেছিল সেখানেও। ব্যবহার করা স্যালাইনের বোতল, তার, সিরিঞ্জ, গ্লাভস হাসপাতাল থেকে একটি চক্র বাইরে পাচার করে বলে অভিযোগ ওঠে।