বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুজো নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ততা ছিল দাস পরিবারে। সদস্যেরা জানিয়েছেন, রাত ১২টা নাগাদ পুজো শেষ হয়। তার পর মন্দিরে তালা দিয়ে তাঁরা বাড়ি চলে যান। শুক্রবার সকালে মন্দিরে পৌঁছে সদস্যেরা দেখেন, দরজার তালা ভাঙা। মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন, বিগ্রহের সোনা এবং রুপোর গয়নাও নেই। সদস্যা অমিতা দাস বলেন, ‘‘কালীপুজোয় তাঁদের কুলদেবীকে সোনা, রুপোর গয়না পরানো হয়। এটাই পরিবারের রীতি। সেই গয়নাই চুরি হয়ে গিয়েছে।’’ পরিবারের দাবি, প্রায় দেড় ভরি সোনা এবং চার ভরি রুপোর গয়না চুরি হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
এর আগে নবমীর ভোরে কেতুগ্রাম থানার পাঁচুন্দি গ্রামের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের প্রায় ৩৫০ বছরের প্রাচীন দুর্গামন্দিরে চুরির অভিযোগ উঠেছে। সেখান থেকে প্রায় ৭০-৮০ লক্ষ টাকার গয়না চুরি হয়েছে। ওই চুরির ঘটনা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। মন্দিরে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন ছিল। এখনও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। গয়নাও উদ্ধার হয়নি। ওই পরিবারের দাবি, মন্দির থেকে প্রায় ৪০০ ভরি রুপো ও ১৫-২০ ভরির সোনার গয়না চুরি হয়।