স্থানীয় সূত্রের খবর, ‘নির্যাতিত’ শিশুর মা-বাবা কৃষিজমিতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। শুক্রবার বিকেলে বাড়ির সামনে শিশুটি একা একা খেলছিল। বাড়ি ফিরে দম্পতি তাঁদের সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে প্রতিবেশীদের কাছে যান। দু’এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে মেয়েটিকে তাঁরা দেখেছেন। আরও কিছু ক্ষণ খোঁজ করার পর বাড়ি থেকে খানিক দূরে একটি পুকুরের ধারে শিশুটির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। চকিতে উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। স্থানীয়েরা অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেন। বছর ৪০-এর ওই যুবককে পেয়েও যান তাঁরা। শুরু হয় গাছে বেঁধে মারধর। অভিযোগ, জিলিপি খাওয়ানোর নাম করে শিশুটিকে ধর্ষণ করে খুন করেছেন ওই যুবক। পরে দেহটি ফেলে দিয়ে আসেন পুকুরের ধারে।
গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিশ। তখন পুলিশের গাড়ি ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। আক্রান্ত হন ওসি অসীম মজুমদার। তার কিছু ক্ষণের মধ্যে আরও পুলিশবাহিনী যায় ওই এলাকায়। তার মধ্যে অভিযুক্তকে কোনও রকমে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট ওয়াই রঘুবংশি বলেন, “একটি মেয়ে মারা গিয়েছে। এক ব্যক্তিও মারা গিয়েছেন। পুলিশ গোলমালের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’