কালীপুজো দেখে ফেরার সময় বক্সায় ছিনতাই মোবাইল-বাইক, গুলিবিদ্ধ যুবক
হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ নভেম্বর ২০২৪
কালীপুজোর রাতে ঠাকুর দেখে ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হল এক যুবক। অভিযোগ, দুই যুবক ও দুই যুবতী বাইকে করে পুজো দেখে ফেরার সময় ছিনতাইবাজদের একটি দল তাদের পথ আটকায়। এরপর মোবাইল, বাইক লুট করার পাশাপাশি বচসার জেরে ওই যুবককে পায়ে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে কালীপুজোর রাতে আলিপুরদুয়ারের বক্সা জঙ্গলে ঘেরা ডিমা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানা। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দুটি বাইকে করে ৪ জন ফিরছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা ডিমা ব্রিজের কাছে তাদের পথ আটকায়। এরপর তারা বন্দুক দেখিয়ে ৪ জনকে মোবাইল বের করতে বলে। ভয়ে যুবক যুবতীরা নিজেদের মোবাইল দুষ্কৃতীদের হাতে তুলে দেন। শুধু তাই নয়, তাদের একটি বাইক নিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় প্রতিবাদ জানান অনীশ দেব নামে এক যুবক। তখন বচসার জেরে দুষ্কৃতীরা অনিশের পায়ে গুলি চালায়। ঘটনায় গুলির আওয়াজে সেখানে ছুটে আসে আশেপাশের লোকজন। তখন দুষ্কৃতীরা বাইকে করে সেখান থেকে চম্পট দেয়। আহত যুবক অনিশকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
জানা গিয়েছে, আহত যুবক অনিশ আলিপুরদুয়ার বীরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। আজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। রাতের অন্ধকারে এভাবে ছিনতাই এবং লুটের ঘটনায় আতঙ্কে স্থানীয়রা। ঘটনার কথা জানতে পেরে তদন্ত শুরু করেছে কালচিনি থানার পুলিশ। থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে প্রথমে দুষ্কৃতীরা বন্দুক বের করে ভয় দেখিয়ে মোবাইল, বাইক নিয়ে নেয়। পরে পালানোর সময় তাদের মধ্যে একজন ওই যুবকের পায়ে গুলি করে। দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনায় আহত যুবক অনিশ দেব বলেন, ‘আমরা পুজো দেখে ফেরার সময় সবে মাত্র ডিমা ব্রিজে বাইক হ্যান্ডেল লক করে দাঁড়িয়েছিলাম। সেই সময় দুজন যুবক মাস্ক পরে এবং হাতে বন্দুক নিয়ে আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। তারা প্রথমে শূন্যে গুলি চালায়। এরপর আমাদের কাছে এসে যা কিছু আছে বের করে দিতে বলে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা মোবাইল, টাকা, এমনকী বাইকও দিয়ে দিই। তারপর তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় আমার পায়ে গুলি করে। আমি অচেতন হয়ে যাই। পরিচিত একজন আমাকে উদ্ধার করে আলিপুর জেলা হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে নিয়ে আসেন। আমার দাদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।’ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কালচিনি থানার পুলিশ।