স্কাইওয়াক নির্মাণে দেরি, তাই কি দীপাবলিতেও ভিড় হল না কালীঘাট মন্দিরে?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ নভেম্বর ২০২৪
দীপাবলির উৎসবেও ভিড় উপচে পড়ল না কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে। এর জন্য নাকি কালীঘাটের নির্মীয়মাণ স্কাইওয়াকটিকেই দায়ী করছেন সেবায়েতদের একাংশ।
অন্যদিকে, স্থানীয় দোকানিদের বক্তব্য, একই মাসে শারদোৎসব ও কালীপুজো পড়াতেই মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামেনি। কারণ, মানুষের হাতে খরচ করার মতো অর্থ নেই।
আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে কালীপুজোর দিন কালীঘাটের মন্দিরের আশপাশের পরিস্থিতি নিয়ে নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সেই অনুসারে, ওই দিন মন্দিরে যত মানুষকে দেখা গিয়েছে, তার থেকে মানুষের অনেক বেশি উৎসাহ দেখা গিয়েছে নির্মীয়মাণ স্কাইওয়াকটিকে কেন্দ্র করে।
এখনও সেই স্কাইওয়াকের প্রায় ২০ শতাংশ নির্মাণকাজ বাকি রয়েছে। তারপরও কালীঘাটে আসা মানুষজন একবার সেখানে ঢুঁ মেরে যাচ্ছেন।
স্থানীয় দোকানদাররা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্কাইওয়াকের কাজ কবে শেষ হবে, কবে সেই স্কাইওয়াক খোলা হবে - এমন হাজারো প্রশ্ন করছেন মন্দিরে আসা ভক্তরা।
স্বাভাবিকভাবেই এসব প্রশ্নের সমস্ত উত্তর দোকানিদের জানা নেই। তবু, মানুষের সঙ্গে এ নিয়েই দিনভর কথা বলে যেতে হচ্ছে। অথচ, বিকিকিনি তেমনভাবে হচ্ছে না।
স্থানীয় বিভিন্ন দোকানে যাঁরা পুজোর সামগ্রী বিক্রি করেন, তাঁদের কেউ কেউ দাবি করেছেন, সাধারণত - শনি ও মঙ্গলবার মন্দিরে যেমন ভিড় হয়, এবারের কালীপুজোয় সন্ধ্যার পর থেকে তেমনই ভিড় হয়েছিল কালীঘাটে। সকালের দিকে সেটুকুও ছিল না।
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, তাঁরা আগে থেকেই অনুমান করেছিলেন এবছর ব্যবসা তেমন জমবে না। কারণ, দুর্গাপুজোর পর একই মাসের একেবারে শেষ দিনে পড়েছে কালীপুজো।
ফলত, দুর্গাপুজোয় অধিক খরচে অভ্যস্থ বাঙালির হাত কালীপুজোর সময় একেবারে ফাঁকা। যার জেরে মন্দিরে অনেক কম ভক্ত সমাগম হয়েছে। যাঁরা এসেছেন, তাঁরাও সকলে ডালা কিনে পুজো দেননি।
অন্যদিকে, সেবায়েতদের অভিযোগ, স্থানীয় স্কাইওয়াকটি নির্মাণের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ না হওয়ায় মন্দিরে দর্শনার্থীদের ভিড় এবছর কম হয়েছে।
সেবায়েতদের বক্তব্য, যে স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল গত এপ্রিল মাসে, তা হয়তো শেষ হবে আগামী বছরের এপ্রিলে। তত দিন মন্দিরে আগের মতো ভক্তের ঢল নামবে না বলেই আশঙ্কা করছেন সেবায়েতরা।
প্রসঙ্গত, কালীঘাট মন্দিরের সামগ্রিক আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থির হয়েছে, ধাপে ধাপে এই মন্দির সংস্কার করা হবে। স্কাইওয়াক নির্মাণও সেই আধুনিকীকরণের অংশ। ফলত, সেই নির্মীয়মাণ কাঠামো নিয়ে মানুষের মনে উৎসাহ থাকবেই।