শুক্রবারও মানুষের ঢল মেদিনীপুরের শহর ও গ্রামের পুজো মণ্ডপগুলিতে
বর্তমান | ০২ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: মেদিনীপুর শহরে কালীপুজোকে কেন্দ্র করে উন্মাদনা তুঙ্গে। বৃহস্পতিবারের মতো শুক্রবারও সন্ধ্যা নামতেই সাধারণ মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন শহরের মণ্ডপগুলোতে। এবছর শহরের থিমের মণ্ডপ দেখতে রেকর্ড ভিড় হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। শুধু শহরে নয়, কেশপুর, গড়বেতা, চন্দ্রকোণা রোড, শালবনী সহ গ্রামীণ এলাকার পুজোগুলোতেও ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ ঠাকুর দেখেছেন। পাশাপাশি শহরের হোটেল ও রেস্তরাঁগুলিতে ব্যাপক ভিড় হয়। কালীপুজোয় ব্যবসা ভালো হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ ইয়ং সোসাইটির উদ্যোগে তৈরি হয়েছে রাজস্থানের মন্দির। এক টুকরো রাজস্থান তুলে ধরা হয়েছে মণ্ডপে। মৃৎশিল্পী সমর রায় তৈরি করেছেন সাবেকি ঠাকুর। এদিন রাতে বেশ ভিড় হয় মণ্ডপে। পুজো কমিটির সভাপতি সৌরভ বসু বলেন, প্রচুর মানুষের সমাগম হচ্ছে।
অন্যদিকে, রাজাবাজার ত্রিশক্তি সঙ্ঘের উদ্যোগে মণ্ডপসজ্জায় বাঁকুড়া জেলার ঐতিহ্য টেরাকোটা শিল্পকে তুলে ধরা হয়েছে। স্বস্তিক চিহ্নের ন্যায় তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। ১২ ফুট উচ্চতার সাবেকি প্রতিমা দেখতে এদিন সন্ধ্যা থেকেই মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। পুজো কমিটির সম্পাদক তুহিন রায় বলেন, চন্দননগরের ধাঁচে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়েছে। অপরদিকে, মেদিনীপুর শহরের সবুজ সাথীর থিম ‘পুরাতন মন্দির’। জরাজীর্ণ মন্দিরের ধাঁচে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। মণ্ডপের ভিতর রাখা হয়েছে আফ্রিকান মূর্তি। এছাড়াও বিভিন্ন মুখোশ দিয়ে সাজানো হয়েছে মণ্ডপ। শুক্রবার সন্ধ্যার পর অনেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন এই পুজো মণ্ডপে। মানিকপুর ভ্রাতৃসঙ্ঘের উদ্যোগে এবছরও ২০ ফুট উচ্চতার কালীমূর্তি গড়া হয়েছে। গোরুর গাড়ির উপর দেবীর মূর্তি দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। ক্লাবের সম্পাদক গৌরব সিংহ বলেন, প্রচুর মানুষ আসছেন। বড়বাজার ডিস্কো ক্লাবের এবছরের থিম হয়েছে ‘গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য’। মণ্ডপসজ্জায় কাঠের পুতুল, পটের কাজ তুলে ধরা হয়েছে। বড়বাজার এলাকায় মণ্ডপ দর্শনে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতেও মেদিনীপুর শ্মশানকালী মন্দিরে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। অপরদিকে, মেদিনীপুর শহরের মায়ের বাড়ি লেন এলাকায় আনন্দ সঙ্ঘ রাজার গেড়্যা পুজো কমিটির উদ্যোগে পুজোয় ব্যাপক ভিড় হয়। পুজো কমিটির সদস্য অনুপকুমার দে বলেন, পাড়ার মানুষের জন্য ফল প্রসাদের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেদিনীপুরের বুলেট ক্লাবের প্রতিমা।-নিজস্ব চিত্র