জিআই তকমার দৌড়ে কালনার নোড়া ও কাটোয়ার পরাণের পান্তুয়া
বর্তমান | ০২ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: কালনার নোড়া পান্তুয়া, কাটোয়ার পরাণের পান্তুয়ার নাম শুনেই মিষ্টি প্রেমিকদের জিভে জল চলে আসে। কালনায় যে পর্যটকরা আসেন, তাঁরা নোড়া পান্তুয়া না চেখে বাড়ি ফেরেন না। মানকরের কদমারও খ্যাতি আছে। জেলার এই তিনটি মিষ্টিকে জিআই তকমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই খবরে খুশি এসব মিষ্টির প্রস্তুতকারীরা। জিআই তকমা পেলে ব্যবসা বাড়বে বলে তাঁরা মনে করছেন।
কোনও কিছুর জিআই তকমা দেওয়ার আগে তার ইতিহাস সন্ধান করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। কীভাবে, কী কী উপকরণ দিয়ে এই মিষ্টি তৈরি হয়? অন্য কোথাও এধরনের মিষ্টি তৈরি হয় কি না, এসমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে আধিকারিকরা রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেন। এসব প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। আর একটি-দু’টি ধাপ পেরলেই জিআই তকমা পাওয়া যাবে। জেলায় শক্তিগড়ের ল্যাংচা সহ আরও কয়েকটি মিষ্টি জিআই তকমার আবেদন করেছে। তবে সেগুলির ক্ষেত্রে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা রয়েছে।
রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, কালনা ও কাটোয়ার পান্তুয়ার জিআই তকমার জন্য অনেক আগেই আবেদন করেছি। এই দু’ধরনের মিষ্টি আর কোথাও তৈরি হয় না। এমন স্বাদ খুব কম মিষ্টিতে পাওয়া যায়। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি এই দু’টি মিষ্টি জিআই তকমা পেয়ে যাবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীর সঙ্গে ফের কথা বলব। পূর্বস্থলীর কাঠের পুতুলও জিআই তকমা পাওয়ার দৌড়ে রয়েছে। এই এলাকার নতুনগ্রামে কাঠের তৈরি পেঁচার কদর বিভিন্ন জেলায় রয়েছে। এই শিল্পও বিশেষ স্বীকৃতি পাওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি সহ নানা উপকরণ জিআই তকমা পাওয়ার তালিকায় রয়েছে। জেলার সীতাভোগ, মিহিদানা, গোবিন্দভোগ চাল জিআই পেয়েছে। টাঙ্গাইল শাড়িও এই তকমা পেয়েছে। কালনা ও কাটোয়ায় যে ধরনের পান্তুয়া তৈরি হয়, তা অন্য কোথাও মেলে না। মানকরের কদমাও বিখ্যাত। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এসব মিষ্টি জিআই পেলে ব্যবসা বাড়বে। কারণ কোনও সামগ্রীর বিশেষ স্বীকৃতি থাকলে তা ক্রেতার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। সীতাভোগ, মিহিদানার ব্যবসা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তা বাইরেও যাচ্ছে।