রাতে কালীপুজোর পরই সকালে পিস্তল নিয়ে প্রতিবেশীর উপর চড়াও সাধুবাবা
বর্তমান | ০২ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: কালীপুজোর রাতে কালীর সাধনা, সকালেই প্রতিবেশীর উপর পিস্তল নিয়ে চড়াওয়ের অভিযোগ। সাধুবাবা ও তাঁর পরিবারের তাণ্ডবে ত্রস্ত কুলটি থানার শীতলপুর এলাকা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, শনিবার সকালে প্রতিবেশীকে লক্ষ্য করে দু’রাউন্ড গুলি চালিয়েছেন সাধুবাবা। ব্যাপক ভাবে প্রতিবেশীকে লাঠিপেটা করা হয়েছে। ঘটনার পরই পুলিস সাধুবাবা ও তাঁর ছেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বিশাল আকারের ধারালো ভোজালি। বিকালে পুলিস আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করতে পেরেছে বলে জানা গিয়েছে। কুলটি থানা এলাকায় বার বার আগ্নেয়াস্ত্রের অবাধ ব্যবহার ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতলপুর এলাকার রাজকুমারী দেবী এদিন সকালে ভিজে কাপড় শুকনোর জন্য মেলছিলেন। সেই সময়ে অভিযুক্ত সাধুবাবা এবং তাঁর ছেলে অভিযোগ করেন কাপড়ের জল বাইকে পড়ছে। এই নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত। তারপরই রাজকুমারী দেবীকে গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার প্রতিবাদ করেন মহিলার স্বামী কালীচরণ রাম। এরপরই অভিযুক্ত বাবা ও ছেলে কালীচরণ রামকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। বাম হাত ফেটে যায়। তারপরই বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে দু’রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাবা ও ছেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। কালীচরণ রাম বলেন, বিনা প্ররোচনায় আমাদের প্রথমে মারধর করা হয়। তারপর পিস্তল থেকে আমাদের লক্ষ্য করে দু’রাউন্ড গুলি চালায়। অন্যদিকে পুলিস মারধর ও আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও গুলি চলার কথা অস্বীকার করেছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, পুলিস সাধুবাবার ছেলেকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার করলেও তাঁকে এখনও গ্রেপ্তার করেনি। পুলিসের দাবি, দু’টি পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছে। এদিন কাপড় মেলা নিয়ে অশান্তি হয়েছে, আগে ড্রেনের জল পার করা নিয়ে অশান্তি হয়েছে। ডিসি সন্দীপ কাররা বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র উচিয়ে হুমকি মারধরের ঘটনা ঘটলেও গুলি চালানোর কোনও প্রমাণ মেলেনি। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।