• ভাইফোঁটার বাজার দখল করেছে গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দই
    বর্তমান | ০২ নভেম্বর ২০২৪
  • সৌমেন পাল, গঙ্গারামপুর: ভাইফোঁটার বাজার দখল করেছে গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দই। ভাইফোঁটায় জেলার জনপ্রিয় মিষ্টি গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দই পাতে থাকা চাই। তাই প্রিয়জনদের সেই দই খাওয়াতে আগে থেকেই অনেকে মিষ্টি প্রস্ততকারকদের কাছে অর্ডার দিয়ে রেখেছেন। যে কোনও পার্বণ এলেই বাঙালি ইলিশে মজে থাকে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তো বটেই আশপাশের জেলাতেও সমানভাবে কদর রয়েছে গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দইয়ের। ভাইফোঁটার দিন পাতে গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দই বরাবরই বাজিমাত করে থাকে। বোন ও দিদিদের বাড়িতে ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দই উপহার হিসেবে পাঠাতে আগে থেকেই জেলার মিষ্টির দোকানে অর্ডার নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। 

    কালীপুজোর আগে থেকেই নয়াবাজার এলাকায় ক্ষীর দই তৈরির ব্যস্ততা তুঙ্গে দই প্রস্তুতকারকদের মধ্যে। তাঁরা এবারে সুগার ফ্রি ও মিষ্টি দই ও ভিন্ন স্বাদের চন্দ্রচূড় দই নিয়ে এসেছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারে খাঁটি ক্ষীর দই প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, চন্দ্রচূড় দই ১৮০ টাকায়। গঙ্গারামপুরের নয়াবাজার এলাকায় দই প্রস্তুতকারকরা এবার প্রতিবেশী রাজ্য বিহার ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে অর্ডার পেয়েছেন। নয়াবাজার এলাকার দই প্রস্তুতকারক প্রায় ১০০টি পরিবার ৫০০ কুইন্টাল দুধের দই তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাজার ধরতে নেমেছে। গঙ্গারামপুর চৌপথী এলাকার ক্ষীর দইয়ের স্টলগুলিতে ব্যাপক পরিমাণ দই মজুত করছে। রাতে বাসে করে অর্ডার অনুযায়ী দই পৌঁছে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন জেলার মিষ্টির দোকানে। 

    নয়াবাজারের দই প্রস্তুতকারক বাপী ঘোষ বলেন, ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে অর্ডার মিলেছে। 

    বিভিন্ন মিষ্টির দোকান থেকে আগাম বায়নার টাকা নেওয়া রয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে চাহিদা অনুযায়ী দইয়ের দাম বেড়েছে। আগামী দিনে ক্ষীর দইয়ের কী ভবিষৎ রয়েছে তা ভাবাচ্ছে আমাদের। 

    চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে দই প্রস্তুত করেছি। সুগার ফ্রি দই রাখা হচ্ছে ভোজন রসিকদের কথা মাথায় রেখে। জেলায় আমাদের দই মিষ্টির দোকানগুলিতে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)