সংবাদদাতা, মালদহ: একই দিনে দুইটি অগ্নিকাণ্ড মালদহে। কালীপুজোর পরের দিনই অগ্নিকাণ্ড কালিয়াচকের একটি ব্যস্ত বিপণন এলাকায় এবং ইংলিশবাজারের দেশবন্ধু পাড়ায়। শর্টসার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকল আধিকারিকদের। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের পর নতুন করে জোরালো হয়েছে কালিয়াচকে দমকল কেন্দ্র তৈরির দাবি।
শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ কালিয়াচক থানা এলাকার নিউ মার্কেট এবং স্টাইল বাজার মল থেকে অনতিদূরে একটি বিপণন ভবনের দোতলায় আগুন লাগে। সেখানে কোথাও কাপড়, কোথাও বা প্লাস্টিক সামগ্রী রাখা ছিল। স্বাভাবিকভাবে দ্রুত কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় ওই এলাকা। কীভাবে আগুন লাগল তা নিশ্চিতভাবে জানা না গেলেও শর্টসার্কিটের কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে অনুমান দমকলের। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে। আগুন লাগার খবর পেয়েই ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিস সুপার (গ্রামীণ) আলি আবু বক্কর, কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরী প্রমুখ। মালদহ থেকে আসে দমকলের দুইটি ইঞ্জিনও। পাশাপাশি আগুন নেভাতে হাত লাগান মোজাহিদ হোসেন, রিয়া সেন, অমিতাভ সেন সহ স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা। সকলের তৎপরতায় ঘণ্টা খানেকের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিস জানিয়েছে, কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে।
অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা বলেন, কালিয়াচক ইতিমধ্যেই জেলার অন্যতম ব্যস্ত ও জনবহুল এলাকা। বাণিজ্যও হয় বিপুল অর্থের। অথচ এখনও কালিয়াচকে দমকল কেন্দ্র গড়ে উঠল না। অবিলম্বে কালিয়াচকে দমকল কেন্দ্র তৈরি হওয়া দরকার।
অন্যদিকে এদিন মালদহ শহরের দেশবন্ধু পাড়ার নারায়ণ কুণ্ডুর বাড়িতে আগুন লাগে। বাড়িতে তখন কেউই ছিলেন না। খবর পেয়েই ছুটে যান তাঁরা। আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন এবং স্থানীয় কাউন্সিলার সহ অন্যান্যরা। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, শর্টসার্কিট থেকেই সম্ভবত আগুন লেগেছে। বাড়ির বেশ কিছু আসবাবপত্র পুড়ে যায়। তবে বড় ক্ষয়ক্ষতির আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।