আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স সহ ৭টি দেশের নাগরিকদের সাইবার সুরক্ষার পাঠ দিল বাংলা
বর্তমান | ০২ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শুধু রাজ্য বা দেশ নয়, সাইবার অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সারা বিশ্বের কাছে বড় ভরসা হয়ে উঠল পশ্চিমবঙ্গ। কারণ, সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদের সময়োপযোগী করে তুলতে এরাজ্যের বুদ্ধিমত্তার উপরেই ভরসা রাখলেন আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, কানাডা, ফ্রান্সসহ সাতদেশের নামজাদা কোম্পানির সিইও থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞরা। দেশজুড়ে সাইবার অপরাধ নিয়ে ত্রাহি ত্রাহি রবের আবহে সাইবার সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছিল রাজ্যের তথ্য-প্রযুক্তি দপ্তর। আর এই শিবিরে অনলাইনে সাতদেশের নাগরিকদের সাইবার সিকিউরিটির পাঠ দিল বাংলা।
রাজ্যের সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার অব একসেলেন্স এবং ওয়েবেল এই প্রশিক্ষণের সম্পূর্ণ দায়িত্বে ছিল। জাতীয় সাইবার সিকিউরিটি সচেতনতা মাস উপলক্ষ্যে অক্টোবর মাসজুড়ে একেবারে বিনামূল্যে এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্যের এক পদস্থ কর্তা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে সাইবার সিকিউরিটি প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে রাজ্যের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। আর এবার সমাজমাধ্যমে এই বিশেষ প্রশিক্ষণের খবর ছড়াতেই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়। তার কিছুদিনের মধ্যেই রেজিস্ট্রেশনের ঝড় ওঠে। এই একমাসে মোট ৩,১৮০ জন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এঁদের মধ্যে সাড়ে সাতশো জনের বেশি শংসাপত্র পেয়ে এগিয়েছেন।
রাজ্যের একাধিক আমলাও এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। শুধু তাই নয়, রাজ্যের উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে সারা দেশ এবং বিদেশের মানুষের মধ্যেও ছিল ব্যাপক উত্তেজনা। রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে তো বটেই, দেশের ১৮টি রাজ্য থেকেও শতাধিক ব্যক্তি এই প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু রাজ্যের এই প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে বিদেশিদের মধ্যেও চাহিদা তৈরি হল কেন? প্রশিক্ষণের খুঁটিনাটি এমন করেই সাজানো হয়েছিল যে, তাতে একেবারে সাধারণ মানের সাইবার অপরাধ ঠেকানো থেকে শুরু করে সমস্ত পরিবারকে এর হাত থেকে রক্ষা করার উপায় শেখানো হয়েছে এই শিবিরে। মোবাইল ফোনই হোক বা ল্যাপটপ বা কম্পিউটার—সমস্ত ক্ষেত্রেই অনলাইনে কাজ করা কালীন কী কী সাবধানতা নিতে হবে, সবই শেখানো হয়েছে অত্যন্ত সহজভাবে। এক আধিকারিক জানান, বর্তমানে কেউ পাঁচ টাকার চা খেলেও অনলাইন পেমেন্ট করেন। কিন্তু সেইসময় তিনি যেন কোনোভাবেই অপরাধীদের খপ্পরে না পড়েন, এই সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি।