বিনামূল্যে চাল-গম দিতে সরকারের খরচ কত টাকা? উল্লেখ থাকবে রেশন স্লিপে
বর্তমান | ০২ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রেশন গ্রাহকদের চাল-গম দেওয়ার সময় যে ‘স্লিপ’ দেওয়া হয় তাতে এবার উল্লেখ থাকবে—এজন্য সরকারের কত খরচ হচ্ছে। রেশন দোকানের ই-পস যন্ত্র থেকে কাগজের এই স্লিপ বেরয়। যেহেতু রেশন গ্রাহকরা চাল-গম বিনামূল্যেই পান, তাই ওই স্লিপে দামের কোনও উল্লেখ থাকে না। মোট কী পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হল এবং অন্যকিছু তথ্যই স্লিপে পাওয়া যায়। কিন্তু নভেম্বর থেকেই এর পরিবর্তন হচ্ছে। রাজ্য খাদ্যদপ্তর গত বুধবার এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ১ নভেম্বর থেকে নতুন ধরনের স্লিপ চালু করার কথা জানিয়ছে। তবে শুক্রবার মাসের প্রথম দিন, রেশন দোকানে ছুটি ছিল। আজ শনিবার রেশন দোকান থেকেই এমাসের প্রথম চাল-গম দেওয়া শুরু হবে।
খাদ্যদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চাল ও গমের ‘ইকনমিক প্রাইস’ ই-পস যন্ত্র থেকে বেরনো স্লিপে উল্লেখ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা এবং রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার আওতাভুক্ত গ্রাহকদের জন্য নতুন স্লিপ চালু হবে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার যে খরচ (ইকনমিক কস্ট) বহন করে রেশন গ্রাহকদের জন্য শুধু তারই উল্লেখ রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রতি কেজি চালের জন্য ৩৭ টাকা ৪৬ পয়সা এবং গম বা আটার জন্য ২৭ টাকা ৯ পয়সা খরচ হচ্ছে সরকারের।
রেশন গ্রাহকদের স্লিপে সরকারি খরচের উল্লেখ করার বিষয়টি নিয়ে গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রকের সঙ্গে রাজ্য খাদ্যদপ্তরের টানাপোড়েন শুরু হয়। ফলে বেশিরভাগ রাজ্যে এটা চালু হলেও পশ্চিমবঙ্গে তা হয়নি। রাজ্য খাদ্যদপ্তরের বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতাভুক্ত গ্রাহকদের চাল-গম দিলেও তাতে রাজ্যেরও কিছু খরচ হয়। রেশন ডিলার-ডিস্ট্রিবিউটরদের কমিশন এবং রাজ্যের মধ্যে চাল-গম পরিবহণ খরচের অর্ধেক রাজ্যকে মেটাতে হয়। তাই রাজ্য সরকার যে খরচ করছে, স্লিপে তার উল্লেখ থাকবে না কেন, সেই প্রশ্ন তোলা হয়। রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনার অন্তর্গত গ্রাহকদের জন্য যে খরচ হয়, তার পুরোটাই রাজ্য দেয়। রেশন ডিলারদের সর্বভারতীয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানান, স্লিপে কীভাবে সরকারি খরচের উল্লেখ করা হবে, তার জন্য প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।