• নিষিদ্ধ বাজি বিক্রেতাদের শ্রীঘরে আটকে বনগাঁয় শব্দ-জব্দ পুলিসের
    বর্তমান | ০২ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: দীপাবলির আগে বনগাঁ মহকুমায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ জন বাজি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে বনগাঁ জেলা পুলিস। পাশাপাশি শতাধিক কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। জেলা পুলিসের এই অভিযানেই বাজিমাত বনগাঁয়। দীপাবলির রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছেন বনগাঁবাসী। বাসিন্দাদের দাবি, বনগাঁর মানুষ সচেতন হয়েছেন ঠিকই, তবে শব্দবাজির বিরুদ্ধে পুলিস সক্রিয় হওয়ায় এবার শব্দদানবকে রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

    প্রতি বছর উৎসবের মরশুমে শব্দবাজি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ শোনা যায়। তবে এবার শব্দবাজিকে জব্দ করে সাধারণের প্রশংসা কুড়িয়েছে পুলিস। দুর্গাপুজো ও লক্ষ্মীপুজোয় বনগাঁয় শব্দবাজি সেভাবে ব্যবহার হয়নি বলা যায়। বাসিন্দারা ভেবেছিলেন, দীপাবলি ও কালীপুজোয় শব্দবাজির দাপট বাড়বে। সাধারণ মানুষের সেই আশঙ্কাকে নস্যাৎ করে দিয়ে দীপাবলিতেও শব্দদানবকে রুখে দিয়েছে বনগাঁ পুলিস। বনগাঁর বিশিষ্ট লেখক বিভাস রায়চৌধুরী বলেন, এবছর পুলিসের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। বাজি বিক্রেতারা ভয়ে শব্দবাজি বিক্রি করেনি। মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সবুজ বাজির প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেকটাই বেড়েছে।

    দীপাবলির আগে বনগাঁ মহকুমায় প্রায় দশজন বেআইনি শব্দবাজির কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। উদ্ধার করা হয়েছে ১০০ কেজিরও বেশি নিষিদ্ধ শব্দবাজি। গাইঘাটা থানা এলাকা থেকে চারজন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাগদা, বনগাঁ, গোপালনগর থানার পুলিস বাকিদের গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনায় অসাধু বাজি বিক্রেতাদের মধ্যে পুলিসি আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বনগাঁর বাসিন্দা সহিদুল মোল্লা বলেন, মানুষ সচেতন হয়েছেন ঠিকই। তবে শব্দবাজির বিরুদ্ধে পুলিস যথেষ্ট সক্রিয় ছিল। এবিষয়ে বনগাঁর পুলিস সুপার দীনেশ কুমার বলেন, পুলিসি অভিযান চালিয়ে বহু শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে। গ্রেপ্তার হয়েছে জনা দশেক ব্যবসায়ী। পুলিসের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করতে প্রচার চালানো হয়েছিল। যেকারণে মানুষ শব্দবাজি ব্যবহার থেকে বিরত থেকেছে। এ বিষয়ে পুলিসকে সহযোগিতা করার জন্য বনগাঁবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুলিস সুপার।
  • Link to this news (বর্তমান)