• উনসানিতে একই পরিবারের তিন সদস্য নিখোঁজ ঘিরে রহস্য, তদন্তে জগাছা থানা
    বর্তমান | ০২ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ একই পরিবারের তিন সদস্য। তাদের মধ্যে একজন নাবালিকা ও এক শিশুপুত্র রয়েছে। ঘটনাটি জগাছার উনসানি এলাকার। গত ২৯ অক্টোবর সকালে ইয়াসমিন পারভিন (১৫), তার মাসতুতো বউদি জামিলা বেগম (২৪) ও জামিলার চার বছরের ছেলে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। পরিবারের তরফে জগাছা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কারও খোঁজ মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিস। 

    জগাছার উনসানির নতুন সানাপাড়ার বাসিন্দা ইয়াসমিন পারভিন ২৯ অক্টোবর সকাল ১০টা নাগাদ স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। প্রায় একই সময়ে ইয়াসমিনের প্রতিবেশী মাসতুতো বউদি জামিলা তাঁর ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। তাঁদের প্রায় একসঙ্গেই যেতে দেখেছেন স্থানীয় লোকজন। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও তাঁরা বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরপর দুই পরিবারের তরফে জগাছা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। নাবালিকা ইয়াসমিনের মা জাভেদা বেগম বলেন, ‘ওইদিন সকালে আমি কলকাতার পিজি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখি মেয়ে তখনও স্কুল থেকে ফেরেনি। এরপর স্কুলে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, মেয়ে সেখানে যায়নি। জানি না মেয়ে কোথায় কী অবস্থায় রয়েছে।’

    প্রায় একই সময়ে ইয়াসমিনের সঙ্গে তার মাসতুতো বউদি জামিলার নিখোঁজ হওয়াকে রীতিমতো সন্দেহের চোখে দেখছে পরিবার। নাবালিকার পরিবারের দাবি, জামিলাই ইয়াসমিনকে সঙ্গে নিয়ে কোথাও চলে গিয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ পুলিসি তদন্তের দাবি তুলেছে পরিবার। নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী শেখ মফিজুল বলেন, ‘ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ছাড়ার আগে স্ত্রী এলাকার একটি দোকানে তাঁর মোবাইল ফোনটি বিক্রি করে দেয়। এরপর এটিএম থেকে বড় অঙ্কের টাকা তোলে। ইয়াসমিনের সঙ্গে আমার স্ত্রীর সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল। মনে হচ্ছে, ইয়াসমিনকে নিয়ে ও কোথাও চলে গিয়েছে।’ শুক্রবার পর্যন্ত তাঁদের সন্ধান না মেলায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্যরা। বারে বারে জগাছা থানায় গিয়ে খোঁজ করছেন তাঁরা। ঘটনার পিছনে কোনও নারীপাচার চক্রের যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
  • Link to this news (বর্তমান)