এর আগে আবাস যোজনা নিয়ে বহু অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে। পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তালিকায় নাম উঠেছে তৃণমূল নেতাদের। তা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভও হয়েছে। এ বার তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে আগেভাগেই সতর্ক করেছেন দলের নিচুস্তরের নেতা-কর্মীদের। প্রশাসনের তরফেও ব্লক থেকে জেলা পর্যায়ে ধাপে ধাপে আবাস যোজনার প্রাপকদের নামের তালিকা সরেজমিন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার পরেও ক্ষোভ রয়েছে।
এ দিন দুপুরে পূর্বস্থলী ২-এর বিডিও পৌষালী চক্রবর্তী দল নিয়ে চুপিতে যান। তাঁকে দেখেই মহিলারা দাবি করেন, টিনের, মাটির ভাঙাচোরা বাড়ি হওয়ার পরেও তালিকায় নাম নেই তাঁদের। বার বার ঘরের জন্য ফর্ম জমা দিয়েছেন বলে জানান তাঁরা। বিডিওর কাছে এলাকা ঘুরে দেখার দাবিও করেন। তাঁদের অভিযোগ, বিডিও নামের তালিকা দিতে বলেন, কিন্তু এলাকা ঘুরে দেখেননি। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে বিক্ষোভ চলে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরফা বিবি নামে এক বাসিন্দা বলেন, “প্রথমে আমরা বিডিওর গাড়ি আটকানোর কথা ভাবিনি। ম্যাডামকে বলেছিলাম, যাঁদের ঘর রয়েছে, তাঁদের সরকারি প্রকল্পে ঘর দেওয়া হচ্ছে। অথচ আমাদের মাটির ভাঙাচোরা ঘরে সাপ, ব্যাঙ ঢুকছে। ম্যাডাম গাড়ি থেকে নেমে পরিস্থিতি দেখতে চাননি। তাই বিক্ষোভ হয়।” তাঁর দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির জন্য ত্রিপলও মেলে না। গ্রামের আর এক বধূ ফজিলা বিবির দাবি, “টিনের ঘরে থাকি। ফর্ম জমা দিয়ে আবেদন করেছি। কিন্তু ঘর পাচ্ছি না।”
ওই কেন্দ্রের (পূর্বস্থলী উত্তর) বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় জানান, ওই এলাকায় ঘরের প্রয়োজন রয়েছে, এমন অনেকেই আছেন। প্রশাসনের কর্তারা যখন গ্রামে যাবেন, তখন সঙ্গে নামের তালিকা নিলে ভাল হয়। মহকুমাশাসক (কালনা) শুভম আগরওয়াল বলেন, “চুপিতে একটি ঘটনা ঘটেছি শুনেছি। বিডিওর সঙ্গে কথা বলছি।” বিডিওর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। মেসেজেরও জবাব দেননি তিনি।