সিবিআই সূত্রের দাবি, কলকাতার অফিসে ম্যাথুকে তলব করা হয়েছিল। তিনি তাতে যাতায়াতের বিমান ভাড়া এবং কলকাতার হোটেল খরচ দাবি করেছিলেন। পাশাপাশি, তিনি এখন বেঙ্গালুরুতে থাকছেন বলে জানান। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। এর পরেই সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারেরা বেঙ্গালুরুতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তদন্তকারীদের কথায়, শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতার নির্দেশে পুলিশকর্তা এসএমএইচ মির্জার হাতে ম্যাথু নগদ কয়েক লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলে ভিডিয়োতে ধরা পড়েছিল। নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল, কলকাতার ভবানীপুরের একটি ফ্ল্যাটে ওই শাসক দলের নেতার কাছে গিয়েছিলেন ম্যাথু। ওই নেতার সঙ্গে তাঁর কথাও হয়। এর পরে তিনি বর্ধমানে গিয়ে ওই পুলিশকর্তার হাতে টাকা তুলে দিয়েছিলেন।
সিবিআইয়ের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ম্যাথু জানান, ওই নেতার নির্দেশেই তিনি পুলিশকর্তার হাতে টাকা তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু ভিডিয়োতে সাংবাদিক ম্যাথুর সঙ্গে ওই নেতার কথাবার্তার সময়ে তেমন নির্দেশ বোঝা যাচ্ছিল না।
তদন্তকারীদের দাবি, নারদ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ওই পুলিশকর্তা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। সম্প্রতি তদন্তে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। ওই সব তথ্যের ভিত্তিতে ম্যাথুকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ম্যাথুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমাকে নারদ মামলায় নানা বিষয়ে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমি তদন্তে সহযোগিতা করেছি।” প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের মে মাসে নারদ মামলায় ওই পুলিশকর্তা-সহ কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম, প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়। অভিযুক্তরা এখন জামিনে রয়েছেন।