বহু জট কাটিয়ে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কালীঘাট স্কাইওয়াকের কাজ শুরু হয়েছিল। ২০২৩ সালের এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন সমস্যার জন্য তা হয়নি। সম্প্রতি স্কাইওয়াক ঘুরে দেখেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পরে তিনি বলেন, ‘‘স্কাইওয়াকের মূল কাজ শেষ। আনুষঙ্গিক কাজ কিছু বাকি আছে। সেগুলি হতে মাসখানেক সময় লাগবে। শেষ হলেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন।’’ দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের কাজ শুরু হতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটে স্কাইওয়াক তৈরির ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। প্রায় ৫০০ মিটার লম্বা এবং সাড়ে ১০ মিটার চওড়া ওই স্কাইওয়াক তৈরিতে খরচ ধরা হয় ৮০ কোটি টাকা।
পুরসভা সূত্রের খবর, কালীঘাটের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় মাটির নীচ দিয়ে শতাব্দীপ্রাচীন একাধিক নিকাশি নালা ও জলের পাইপলাইন গিয়েছে। গত তিন বছরে মাটি খুঁড়তে গিয়ে একাধিক বার ওই সব পাইপ ফেটেছে। এক বার স্কাইওয়াকের স্তম্ভের কাজ করতে গিয়ে কালীঘাট থানার কাছে নিকাশির একটি বিশাল পাইপ ফেটে যায়। ওই নিকাশি নালার অভিমুখ পরিবর্তন করে নতুন নালা তৈরি করে কলকাতা পুরসভা।
স্কাইওয়াকের একটি দিক কালীঘাট মন্দির থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের দিকে নামছে। আর একটি দিক কালীঘাট থানার পাশ দিয়ে গুরুপদ হালদার রোডের দিকে নেমেছে। পুরসভা সূত্রের খবর, বেশির ভাগ পুণ্যার্থী শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের দিক থেকে লিফটে করে স্কাইওয়াকে উঠে, হেঁটে সোজা কালীঘাট মন্দিরের কাছে লিফটে নামবেন। সম্প্রতি কালীঘাটে গিয়ে দেখা গেল, স্কাইওয়াকের দু’দিকে লিফট বসানোর কাজ চলছে। কলকাতা পুরসভার আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, সমস্ত পুণ্যার্থী স্কাইওয়াক ব্যবহার করলে নীচের রাস্তা পুরোপুরি যানজটমুক্ত থাকবে। পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের দিকে স্কাইওয়াকের প্রবেশদ্বারে সন্ধ্যার পরে জ্বলে উঠবে নীল-সাদা আলো। প্রবেশপথের সামনে আলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে মন্দিরের ছবি।