পুলিস জানিয়েছে ধৃতের নাম বিমল কুমার রায়। বয়স ৬৮ বছর। বাড়ি ভাতার থানার রায় রামচন্দ্রপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, গুসকরা শহরের একটি বাড়িতে পারিবারিক কালীপুজো করেন বিমল কুমার রায়। বৃহস্পতিবার রাতে পুজো করে চলে যান। শুক্রবার সকালে ফের পুজো করতে যান পুরোহিত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পোশাক ছাড়ার নাম করে ওই বাড়ির দোতলায় উঠে যায়। তখন পরিবারের অন্য সদস্যরা পুজোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই বাড়ির ১২ বছরের মেয়েকে শ্লীলতাহানি করে। মেয়েটি কান্নাকাটি করতে করতে মা কে জানায়। এরপর মেয়েটির মা প্রতিবেশীদের ডাকেন।
লোকজন গিয়ে আটক করে পুরোহিতকে। পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। শুক্রবার দুপুরে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করার পর বিমল কুমার রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। পকসো আইনের মামলা রুজু করেছে পুলিস। শনিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে নাবালিকার পরিবার। তাঁরা জানান, বাড়ির দীর্ঘদিনের পুরোহিত এমন কাজ করতে পারেন তা তাঁরা ভাবতেও পারেননি।
নাবালিকার মা জানিয়েছেন, পুরোহিত সময়ের আগেই তাদের বাড়ি চলে আসে। এরপর ধুতি পালটাবেন বলে সোজা দোতলায় চলে যায়। ঘরে ঢুকে মেয়েকে টেনে কোলে বসায়। কেক, ২০ টাকা হাতে দেয়। মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে নীচে নেমে এসে বলে, পুরোহিত তাকে কোলে বসিয়ে গায়ে হাত দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্ধমানেই এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। ঘটনা বর্ধমানের পাড়াপুকুর এলাকার। জানা গিয়েছে, পাড়াপুকুর একটি কোচিং সেন্টারে ওই বিভিন্ন ক্লাসের ছেলেমেয়েরা পড়তে আসে। গ্ৰেট ওয়ে ফিউচার নামে সেই কোচিং সেন্টারের শিক্ষক সুব্রত দত্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোচিং সেন্টারের এক ছাত্রী ক্লাস ইলেভেনের পড়ুয়ার শ্লীলতাহানি করেন তিনি। অভিযোগ দায়ের হয় বর্ধমান মহিলা থানায়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধমান মহিলা থানার পুলিস গ্রেফতার করে ওই শিক্ষক সুব্রত দত্তকে।