জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার গড়ফার শহীদনগর এলাকায় নিজের বয়ফ্রেন্ডের ফ্ল্যাটে এসেছিলেন ৩৫ বছরের ওই যুবতী৷ পুলিস সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটের ভিতরেই ওই যুবক এবং তাঁর বান্ধবী মদ্যপান করেন৷ গান চালিয়ে নাচানাচিও করেন তাঁরা৷
মহিলার সঙ্গে বিকাশ মন্ডল নামে এক ব্যক্তির সম্পর্ক ছিল। বিকাশের বাড়িতেই মধুরিমা রায় (৩২) নামে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়।মধুরিমার বোন জানিয়েছেন, গতকাল রাত ৮টা নাগাদ দিদিকে প্রসাদ দিতে গিয়েছিলেন। দিদি বিছানায় শুয়েছিল।অনেক ডেকে সাড়া পাওয়া যায়নি। এরপর ঘরের আলো জ্বেলে দেখেন দিদির শরীরে আঘাত রয়েছে। তখন বাড়িতে বিকাশ ও তার মা ছিলেন। তাদের জিজ্ঞাসা করে কিছু জানতে পারেননি।
পরে খবর পেয়ে আসে গরফা থানার পুলিস। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এই ঘটনায় বিকাশকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। জানা গিয়েছে ২০১৩ সালে ভালোবেসে সত্যজিৎ রায় নামে এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছিল মধুরিমা। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি। সত্যজিৎবাবু জানান, তাদের ডিভোর্স হয়ে গেলেও পরিবারের পাশে থাকতেন তিনি। এরইমধ্যে বিকাশের সঙ্গে সম্পর্ক হয় মধুরিমার। কিন্তু বিকাশ নেশা করে মারধর করত মধুরিমাকে। গতকালের ঘটনার পর তিনি মনে করেন খুন করা হয়েছে মধুরিমাকে।
যদিও সঙ্গী দাবি করেছেন, দুপুরে ফ্ল্যাটে একাই ছিলেন ওই যুবতী। তিনি যখন ডাক্তার দেখিয়ে ফিরে আসেন, তখন তাঁকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পান এবং বিকেল পর্যন্ত তাঁকে ডাকা হয়নি। কিন্তু সন্ধ্যাতেও তাঁর সাড়াশব্দ পাননি। সাড়া না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের ও পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। ১০০ নম্বর ডায়াল করে খবর পাঠানো হয় পুলিসকে।