গতকাল নারকেলডাঙায় পার্কিংকে কেন্দ্র দুই গোষ্ঠীর গোলমালের সময় গুলি লাগে ওসি মানিকতলার সঙ্গে থাকা একজন সিভিকের। পুলিস সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েছিলেন 'ওসি' মানিকতলা। তাঁকে হেলমেট দিতে গিয়েছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। সেই সময় ওসি মানিকতলাকে কেন্দ্র করে চালান হয় গুলি। সেই গুলি সিভিকের কনুই ছুঁয়ে বেড়িয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে চম্পট দেই অভিযুক্ত। পরে পুলিস উদ্ধার করে সেই আগ্নেয়াস্ত্র। ইতিমধ্যেই নারকেলডাঙায় থানায় মামলা রজু করা হয়েছে। খোঁজ চলছে অভিযুক্তদের। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী।
এদিকে বৃহস্পতির পর শুক্রবারও কলকাতা এবং শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় রাত ১০টার পরেও দেদার নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, এবছর বাজি ফাটানোর সময়ও বেঁধে দিয়েছিল পুলিশ। এদিকে কালীপুজোর বিসর্জনকে ঘিরে প্রতিটি এলাকায় বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে নারকেলডাঙায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। তবে পুলিশ দাবি করে, তারা সেই পরিস্থিতি সামাল দেয়।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই নারকেলডাঙায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে গুলি চলেছিল বলে অভিযোগ। তারপর যুবককে রাস্তার উপর ফেলে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পরে নারকেলডাঙার কাইজার স্ট্রিটে। জখম যুবককে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গুরুত্বর জখম ওই যুবকের নাম ইমরান। বছর ২৬-এর ইমরান পেশায় প্রোমোটার। পুলিস সূত্রে জানা যায়, ইমরানকে ভোররাতে কয়েকজন ডেকে পাঠায়। সেই ফোন পেয়েই নারকেলডাঙা কাইজার স্ট্রিটে।
সেখানে গেলে তাঁকে প্রথমে প্রাণে মারার হুমকি দেয় চারজন দুষ্কৃতী। বচসা থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। তারপর ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপালে রক্তাক্ত অবস্থায় ইমরান রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন।গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। কিছুদিন আগে সাতসকাল মুর্শিদাবাদের সুতির কাশিমনগরে চলে গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্য হয়েছে বিশু শেখ নামে এক ব্যবসায়ীর। যদিও কি কারণে গুলি চলেছিল তা এখনোও স্পষ্ট নয়। কাসিমনগরে ট্রান্সফরমারের কাছে দোকানে বসে থাকার সময় হঠাৎ গুলি চালানো হয় বলেই অভিযোগ।