রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: ফালাকাটার শিশুকে ধর্ষণ করে খুন নাকি গণধর্ষণ? এক যুবকের আত্মসমর্পণে স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় নয়া মোড়। তবে ওই যুবক কেন আচমকা আত্মসমর্পণ করল, তা পুলিশের তরফে এখনও স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানও দিতে থাকেন তাঁরা।
সদ্যই একমাত্র মেয়েকে হারিয়েছেন। কান্না বাঁধ মানছে না শিশুর মায়ের। কান্নাভেজা গলায় ‘অভিশপ্ত’ দিনের বর্ণনা দেন তিনি। জানান, শিশুকে খুঁজে না পাওয়ায় প্রতিবেশী মনার বাড়িতে যান তিনি। দেখেন, মনা রক্তমাখা গায়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রথমে ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। পরে জোর করে ঘরে ঢোকেন। দেখেন মেয়ে পড়ে রয়েছে। শরীরজুড়ে আঁচড়, কামড়। রক্তে ভেসে যাচ্ছে পোশাক। মনার সঙ্গে ভক্ত নামে আরও এক প্রতিবেশীও ওই ঘরে ছিল বলেই দাবি তাঁর। নির্যাতিতার মায়ের দাবি, তাঁর মেয়েকে দুজনে মিলে ধর্ষণ করেছে। ফাঁসির দাবি জানান তিনি। ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা জানান নির্যাতিতার ঠাকুমাও। তিনি বলেন, “মনাকে দেখলাম হাতে, পায়ে রক্ত। ভেবেছিলাম হয়তো ছাগল কেটেছে। তখনও ভাবিনি নাতনির কথা। পরে জানতে পারলাম আমার বউমা নাতনিকে ওর ঘর থেকেই পেয়েছে।” অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ওই মহিলাও।
উল্লেখ্য, ৬ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের পর বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় মূল অভিযুক্ত মনা রায়ের। অপর অভিযুক্ত ভক্ত রায়কে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালতের। সরকারি আইনজীবী পীযূষকান্তি রায়ের দাবি, ফালাকাটাতে নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতদেহ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনা নিয়ে আজও থমথমে গোটা এলাকা। নতুন করে যাতে আর উত্তেজনা তৈরি না হয়, তাই পুলিশি নজরদারি আঁটসাঁট করা হয়েছে।