সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুললেন নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্র। জনসংযোগের লক্ষ্যে নৈহাটির সাহেব কলোনির বাজারে করলেন ‘চায়ে পে চর্চা’। এখানে রাজ্য নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যার কথা শুনলেন বিজেপি প্রার্থী। একইসঙ্গে দুর্নীতি ইস্যুতে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তিনি।
রাজ্যের ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। যেখানে নৈহাটি কেন্দ্রে বিজেপির তরফে প্রার্থী হয়েছেন ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক রূপক মিত্র। এদিন জনসংযোগ কর্মসূচি চলাকালীন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি প্রার্থী বলেন, ”জয়ের বিষয়ে আমরা আশাবাদী। ইতিমধ্যেই কাঁপা ও চারাপোল এলাকায় নির্বাচনী প্রচার শেষ করেছি। মানুষ দুর্নীতি নয়, উন্নয়ন চায়। তাই এই এলাকার মানুষ বিজেপিকে চাইছেন। কাঁপা থেকে চারাপোল পর্যন্ত আমাদের জনসংযোগ যাত্রায় রাজ্য নেত্রি ফাল্গুনী দি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সাধারণ মানুষের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।”
নির্বাচনী প্রচারে নৈহাটি কেন্দ্রের প্রতিটি প্রান্তে বিজেপির বার্তা পৌঁছে দিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ছেন রূপক। তিনি বলেন, “সাধারণত ভোট প্রচারে প্রার্থীরা শহরকেন্দ্রিক এলাকায় প্রচার চালান। শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা এখানেই ভোট প্রচার সারেন। তবে আমাদের নেতা-নেত্রীরা। গ্রামের প্রতিটি প্রান্তে সরু গলি, কাঁচামাটিতে হেঁটে প্রচার চালাতে অভ্যস্ত। কারণ আমাদের সকলেই মাটির মানুষ, মাটি থেকে উঠে আসা মানুষ। তাঁরা তৃণমূলের মতো ডায়ালগের ‘মা মাটি মানুষ’ নয়।”
উল্লেখ্য, নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালড্যাংরা, মাদারিহাট, সিতাই। রাজ্যের এই ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ১৩ নভেম্বর। এবার যে ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে সেগুলির মধ্যে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটই রয়েছে বিজেপির দখলে। বাকি ৫ কেন্দ্র রয়েছে তৃণমূলের দখলে। নৈহাটির বিধায়ক ছিলেন পার্থ ভৌমিক। তিনি সাংসদ হওয়ায় এখানে হচ্ছে উপনির্বাচন। এবার এখানে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে সনৎ দেকে। ফলে এই কেন্দ্রে শাসকদলের কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খামতি রাখছেন না বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্র।