পুকুর থেকে উদ্ধার হল এক প্যারামেডিক্যাল ছাত্রের দেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আজ শনিবার সকালে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের বালুভরট গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। মৃত ছাত্রের নাম মুজাহিদ আলম বয়স আনুমানিক ২৬ বছর। এভাবে পাশের গ্রামের পুকুর থেকে যুবকের দেহ উদ্ধারকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে পুকুরের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ওই ছাত্রের। তবে এর পিছনে অন্য কজন রহস্য রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে, ছাত্রের পরিবার দেহ ময়নাতদন্তে পুলিশকে বাধা দেয় বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামেরই বাসিন্দা মুজাহিদ। যে পুকুর থেকে মুজাহিদের দেহ উদ্ধার হয়েছে সেটি তার বাবা মহম্মদ হানিফ মাছ চাষের জন্য লিজ নিয়েছিলেন। পুকুরটি তার বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নন্দীপাঠী এলাকায় অবস্থিত। এই পুকুরের নাম হল মাঝিপুকুর। কলকাতার একটি বেসরকারি কলেজের প্যারামেডিক্যালের ছাত্র ছিলেন মুজাহিদ। তবে কিছুদিন ধরে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। পুকুর থেকে যাতে মাছ চুরি না হয় তারজন্য প্রতিদিন রাতে পুকুর পাহারা দিয়ে থাকেন মহম্মদ হানিফ। তবে শুক্রবার পুকুর পাহারার জন্য হানিফ তার ছেলে মুজাহিদকে পাঠিয়েছিলেন। এদিকে, শনিবার সকাল হওয়ার পরেও মুজাহিদ বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। তারা ছেলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, যোগাযোগ হয়ে ওঠেনি। এরপর মুজাহিদের বাবা সরাসরি পুকুরে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান পুকুরের জলে ভাসছে মুজাহিদের দেহ। তড়িঘড়ি তাকে তিনি জল থেকে মুজাহিদকে উদ্ধার করেন। কিন্তু, ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছিল মুজাহিদের।
পরে মুজাহিদের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। এদিকে, খবর পেয়ে মুজাহিদের বাড়িতে ছুটে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম দিকে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যেতে পরিবার ও স্থানীয়রা তাদের বাধা দেয়। পরে অবশ্য পুলিশ তাদের বুঝিয়ে মুজাহিদের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পাঠানো হয়েছে। এই অবস্থায় যুবকের ডুবেই মৃত্যু হল নাকি এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।