কালীপুজোর পরের সকালে মালদার গাজোলে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারে মালদা জেলা কংগ্রেস সভাপতির ছেলে ও গাড়ির চালকসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত সৌম্যজিত সরকার কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে দেউতলার কাছে একটি পুকুর পাড় থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত একটি গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়িতে ছিল রক্তের দাগ। গাড়ির বাঁ দিকের অংশ ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাড়িটি জেলা কংগ্রেস সভাপতি শেফালি সরকারের বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে গাড়িটি চালায় ফাহরুক নামে এক যুবক। সেদিন রাতে সে একটি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে দেহ উদ্ধারের সঙ্গে এই দুর্ঘটনার সম্পর্ক নেই। এর পর ফাহরুককে জেরা শুরু করে পুলিশ, সে জানায় রাতে তাঁর থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে বেরিয়েছিল শেফালিদেবীর ছেলে সৌম্যজিৎ। তিনি ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। তিনিই দুর্ঘটনা ঘটান। দুর্ঘটনার সময় গাড়িতে ছিলেন সৌম্যজিতের বন্ধু আশিস। গাড়িটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে আশিস আহন হন। তাঁকে গাজোল হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু গাজোল হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে সেখানে আশিসকে চিকিৎসা করানোর জন্য আনা হয়নি।
এরই মধ্যে মৃতের পরিচয় প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, মৃত ওই ব্যক্তির নাম কৃষ্ঠপদ রায়। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেলবাড়ি এলাকার অধিকারী পাড়ায়। মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন ওই ব্যক্তি। বুধবার থেকেই নিখোঁজ ছিলেন বাড়ি থেকে। গতকাল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর দেখার পর পরিবারের লোকেরা ছুটে আছেন গাজোল থানায়। মৃতদেহ পাওয়ার জন্য থানায় লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে। তবে পরিবারের সদস্যদের অনুমান এই ঘটনা আর যাই হোক দুর্ঘটনা নয়। পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনা নাকি খুন ! পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে পূর্ণতদন্তের আগে কোন কিছুই বলা সম্ভব নয়।