অনশনমঞ্চ থেকে চুরি গিয়েছিল ফোন, উদ্ধার করে ডাক্তারকে ফেরাল পুলিশ, চোর কে?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০২ নভেম্বর ২০২৪
ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে চুরি যাওয়া ফোন উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। চিকিৎসক পরিচয় পান্ডার ফোন চুরি গিয়েছিল। ইতিমধ্যেই হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ সেই ফোন উদ্ধার করেছে। সেই ফোন তার কাছে ফেরতও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা যখন মঞ্চে ছিলেন তখনই সেই ফোন চুরি গিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। অবশেষে সেই ফোন উদ্ধার করল পুলিশ। তবে কে বা কারা এই ফোন চুরির সঙ্গে যুক্ত তা জানা যায়নি।
কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে সেই উদ্ধার হওয়া ফোন ফেরত দেওয়ার ছবি শেয়ার করা হয়েছে। কিন্তু বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
গত ১৯ অক্টোবর সেই ফোন চুরি গিয়েছিল বলে অভিযোগ। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় সেই প্রতিবেদন লেখা হয়েছিল। মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিব সেদিন এসেছিলেন অনশনমঞ্চে। মুখ্য়মন্ত্রীর বার্তা নিয়ে তাঁরা এসেছিলেন অনশনমঞ্চে। তাঁরা অনশনকারীদের সঙ্গে কথাও বলছিলেন। মঞ্চের কাছে পদস্থ পুলিশকর্তারাও ছিলেন। এদিকে এক অনশনকারী প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এমনকী তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলছিলেন। সেই সময় কিছুক্ষণ পরে সেই জুনিয়র ডাক্তার বুঝতে পারেন তাঁর মোবাইল ফোনটা চুরি হয়ে গিয়েছে। এরপর চারদিকে খোঁজাখুঁজি করা হয়েছিল।
বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সেই ফোনের সন্ধান মেলেনি। তারপর সেই ফোনটিকে ট্র্যাক করা হয়। লোকেশন ট্র্যাক করে বোঝা যায় ফোনটি রয়েছে একটি ক্যাফের সামনে।
এদিকে অনশন মঞ্চে সাধারণত সকলেই ঢুকতে পারতেন এমনটা নয়। তবে সেদিন ভিভিআইপিরা অনশন মঞ্চে এসেছিলেন। তখন পুলিশ প্রশাসনের অন্যান্য লোকজনের ভিড়ও ছিল। তবে সাধারণ মানুষ সেভাবে ছিলেন না। তাহলে ফোন নিল কে? তবে কি এর পেছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল?
এনিয়ে নানা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। পরিচয় পাণ্ডা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, আজ যখন ভিভিআইপিরা এসেছিলেন তখন ফোনটা কাছেই ছিল। পরে রেখেছিলাম। হঠাৎ করে ফোনটা পাচ্ছি না। কল করলে দেখা যায় সুইচড অফ।
এদিকে এবার প্রশ্ন এতজনের মাঝ থেকে ফোনটি নিল কে? তবে এই ফোন নেওয়ার পেছনে কি অন্য কোনও ফন্দি রয়েছে? তবে কি জুনিয়র ডাক্তাররা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন সেটা দেখার জন্য এই ফোন চুরি করা হল? জুনিয়র ডাক্তাররা এনিয়ে নানা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে অবশেষে সেই ফোন উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে ফেরত দিল কলকাতা পুলিশ।