পশ্চিম বন্দর এলাকায় কোনও কালীপুজো মণ্ডপে হামলা বা ভাঙচুর চালানো হয়নি বলে দাবি করল কলকাতা পুলিশ। শনিবার কলকাতা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে যে এক নাবালিকার যৌন হেনস্থার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। ছোড়া হয় পাথর। চালানো হয় ভাঙচুর। কিন্তু তাঁদের কাউকে কোনও কালীপুজো মণ্ডপের কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি বলে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে। সেইসঙ্গে পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে যে অভিযোগ পাওয়ার পরই যৌন হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের তরফে এমন একটা সময় সেই বিষয়টি জানানো হয়েছে, যখন রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় কালীপুজো মণ্ডপ বা কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রায় হামলার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সেই আবহেই শনিবার কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিম বন্দর এলাকায় কালীমন্দিরে বা পুজো মণ্ডপে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে দাবি করা হচ্ছে, সেটা সত্যি নয়। কালীপুজো মণ্ডপে হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, একটি পকসো মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী পক্ষের মধ্যে অশান্তি বেঁধে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন কয়েকজন পাথর ছুড়তে শুরু করে দেয়। এলাকায় ভাঙচুর চালাতে থাকে। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, সেজন্য দ্রুত পদক্ষেপ করে পুলিশ। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। কালীপুজোর মণ্ডপের আশপাশে যাতে কোনওরকম অশান্তি না ছড়ায়, সেজন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় এলাকা।
সেইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, 'মিথ্যা দাবি ছড়িয়ে স্রেফ অহেতুক উত্তেজনায় মদত জোগাবে এবং আসল ঘটনা থেকে নজর ঘুরিয়ে দেবে। যেখানে এক নাবালিকাকে একজন যৌন নিপীড়ন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিম বন্দর থানার কাছে সেই তথ্য আসার পরই দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।'
শুধু বন্দর এলাকায় নয়, নারকেলডাঙা নিয়েও একটি ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। শুক্রবার কলকাতা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, নারকেলডাঙায় কালীপুজোর ভাসানে কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। বাইকের পার্কিং ঘিরে দুই ব্যক্তির মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল। দ্রুত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। শান্তিপূর্ণভাবেই কালীপুজোর ভাসান প্রক্রিয়া চলেছে।