মৃতার আত্মীয় রঞ্জনা থাপার দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে বিমলার উপর অত্যাচার করতেন কমল। রোজ মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করতেন তিনি। সন্দেহের বশেই কমল এ সব করতেন বলে দাবি রঞ্জনার। তাঁর কথায়, ‘‘বিমলা খুব ভাল ছিলেন। কমল নিয়মিত মদ্যপান করতেন। অনেক দিন ধরেই স্ত্রীকে খুন করবেন বলে নিশানা করেছিলেন। প্রায়ই বলতেন, তোমাকে মেরে নিজে মরব।’’
রঞ্জনা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে খাওয়াদাওয়া করে তাঁর কাছেই ঘুমিয়ে ছিলেন বিমলা। মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে ঘরে ডেকে নিয়ে যান কমল। তাঁর কথায়, ‘‘রাতারাতি ও এ সব করবে, বুঝতে পারিনি। ওর ঘরে ছোট দা, শাবল ছিল। সেই দিয়েই এ সব করেছে। ওই সময় ওদের ছেলে অন্য ঘরে ঘুমিয়ে ছিল।’’ রঞ্জনা জানিয়েছেন, ছেলের বয়স এখন ২২ বছর।
রঞ্জনার অভিযোগ, স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর বিষ খান কমল। শনিবার সকালে স্থানীয়েরা তাঁকে টোটোয় চাপিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দু’জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।