শনিবার, প্রতিপদেও অনেক পরিবারে ভাইফোঁটা পালন করা হয়েছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম ছিল চড়া। মানিকতলা এবং গড়িয়াহাট বাজারে এক কেজি পটলের দাম ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কেজি প্রতি উচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, সিম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ডাঁটা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, বিট ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বর্ষার পর থেকে কাঁচালঙ্কার দাম বেশ চড়া কলকাতার বাজারে। এখন বাজারে এক কেজি লঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। বিশেষ দিনে বাঙালির পাতে ডালের সঙ্গে লম্বা বেগুনভাজা না-পড়লেই নয়। সেই বেগুনের দামও আগুন। গড়িয়াহাট এবং মানিকতলা বাজারে এক কেজি বেগুনের দাম পড়ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। রান্নায় টম্যাটো দিতে গেলেও ভাবতে হচ্ছে। এক কেজি টম্যাটো শনিবার বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকায়।
শীতের সব্জির দামও অনেকটাই বেশি। শনিবার গড়িয়াহাট এবং মানিকতলা বাজারে এক কেজি মটরশুঁটির দাম ৩০০ টাকা। এক কেজি বাঁধাকপির দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা। একটি ফুলকপির দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা। রসুনের দাম পাল্লা দিয়েছে তার সঙ্গেই। এক কেজি রসুনের দাম ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। এক কেজি পেঁয়াজের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আলু ছাড়া বাঙালির এক দিনও চলে না। সেই আলুর দামও চড়চড়িয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিযোগ। এক কেজি জ্যোতি আলুর দাম শনিবার গড়িয়াহাট এবং মানিকতলা বাজারে ৩৫ টাকা। এক কেজি চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৪০ টাকা। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে নবান্নে আলুর দামবৃদ্ধি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আলু ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, হিমঘর থেকে এক কেজি আলু বার করতে প্রায় ২৮ টাকা পড়ে যাচ্ছে। যদিও ভাবা হয়েছিল, এক কেজি আলু হিমঘর থেকে বার করতে ২৬ টাকা পড়বে। সে কারণে, কলকাতার বাজারে এক কেজি আলুর দাম ৩০ থেকে ৩২ টাকা। রবীন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, আলুর দাম কমানোর চেষ্টা চলছে। নজরদারি চালাতে রবিবার উল্টোডাঙার বাজারে অভিযান চালাবে টাস্ক ফোর্স। যদিও তিনি জানিয়েছেন, বেগুন, লঙ্কা, টম্যাটো ছাড়া সব সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
শনিবার গড়িয়াহাট এবং মানিকতলা বাজারে এক কেজি রুই মাছের দাম ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, এক কেজি কাতলা মাছের দাম ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। ভাইদের পাতে ইলিশ তুলে দিতে চাইলে পকেটে টান পড়তে বাধ্য। গড়িয়াহাট এবং মানিকতলা বাজারে এক কেজি মাঝারি ওজনের ইলিশের দাম ১,৬০০ থেকে ১,৮০০ টাকা। পিছিয়ে নেই চিংড়িও। এক কেজি গলদা চিংড়ির দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, এক কেজি বাগদা চিংড়ির দাম ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা। এক কেজি পাবদার দাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। অন্য দিকে, এক কেজি মুরগির মাংসের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।