নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: মদ্যপ অবস্থায় রোজই স্ত্রীর উপর অত্যাচার চালত। শেষমেশ স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করেই আত্মঘাতী হল স্বামী। অন্ততঃ পুলিসের অনুমান এমনটাই। আজ শনিবার সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের দেবপুকুরের সূর্যপুর এলাকা। স্ত্রী বিমলা কর্মকারকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী কমল কর্মকারের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, স্ত্রীকে খুনের পর নিজেও বিষ খান তিনি। আজ সকালে ঘর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হল ওই গৃহবধূ বিমলার দেহ। পাশাপাশি ওই ঘরের বাইরেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিলেন স্বামী কমল। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। একসঙ্গে স্বামী ও স্ত্রীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমেছে মোহনপুর থানার পুলিস।
জানা গিয়েছ, আজ শনিবার সকালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন দেখতে পান ঘরের দরজার সামনে পড়ে রয়েছেন কমল। আকস্মিকতার সেখানেই শেষ নয়! ঘরের ভিতরে ঢুকতেই তাঁরা দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় খাটে পড়ে রয়েছেন বিমলা। কমলকে উদ্ধার করে বারাকপুরের বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে বিমলার মৃত্যুর খবর পেয়ে মোহনপুর থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের দাবি বিমলাকে কুপিয়ে খুন করে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে কমল।
কমল ও বিমলা কর্মকারের ছেলে লিটন জানিয়েছেন, বাবা প্রায়ই মদ্যপান করে বাড়ি ফিরে মাকে মারধর করত। তাই ছোটবেলাতেই তাকে নিয়ে মামারবাড়িতে চলে এসেছিলেন বিমলা। কিন্তু স্বামী সেখানেও গিয়ে মাঝেমাঝে অত্যাচার করত। ছেলে লিটন তার সাক্ষী। তাই তিনি বাবার সঙ্গে বেশি কথাও বলতেন না। শুক্রবার রাতে মায়ের ঘরেই ছিলেন লিটন। বাবা কমল এসে বিমলার খোঁজ করেন। ছেলে জানায়, মায়ের জ্বর হয়েছে, তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন। তা শুনে বাবা প্রথমে চলে গেলেও পরে ফিরে আবার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা কেমন আছে, তা জানতে চায়। এর পর ছেলে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল।