হরিহরের অভিযোগ, শনিবার তিনি সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের সব্জি মান্ডি এলাকায় দলীয় কয়েক জন কর্মীকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় আচমকাই তাঁর পথ আটকায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। তাঁকে ঘিরে ধরে অকথ্য ভাযায় গালিগালাজ করা হয় বলেও অভিযোগ কংগ্রেস প্রার্থীর। তাঁর অভিযোগ, যে হেতু তিনি তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাই তাঁকে প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল জানে সিতাইয়ে কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা আছে। তাই এমন কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে।
সিতাইয়ের কংগ্রেস প্রার্থী বলেন, ‘‘নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ করেছি। নির্বাচনী প্রচার যাতে সুষ্ঠু ভাবে করতে পারি, তার জন্য নিরাপত্তাও চেয়েছি।’’ যদিও এই বিষয়ে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া তথা তৃণমূল বলেন, ‘‘এখানে কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই। শুধুমাত্র প্রচারের আলোতে আসার জন্য পর্যবেক্ষকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে তারা। গত বিধানসভা নির্বাচনে এক শতাংশও ভোট পায়নি কংগ্রেস।’’ কংগ্রেসের সব অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি তৃণমূলের।
উল্লেখ্য, আগামী ১৩ নভেম্বর সিতাই বিধানসভার উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ রয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে লড়ে জিতেছিলেন জগদীশ। তবে ২০২৪ সালে তাঁকেই কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে তৃণমূল। জিতে তিনি সাংসদ হওয়ায় সিতাইয়ে আবার নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। তৃণমূল উপনির্বাচনে প্রার্থী করেছে সঙ্গীতা রায়কে। তাঁর বিরুদ্ধেই কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন হরিহর। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হওয়ায় এখানে প্রার্থী দিয়েছে বামেরাও। তারা ফরওয়ার্ড ব্লকের অরুণকুমার বর্মাকে প্রার্থী করেছে। আর বিজেপির প্রার্থী দীপক রায়।