• ‘পশ্চিমবঙ্গও খুনি, ধর্ষকদের উল্লাসভূমি হয়ে গেল নাকি?’ TMC MLA'র বিস্ফোরক পোস্ট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ নভেম্বর ২০২৪
  • বাংলা জুড়ে একের পর এক খুন ধর্ষণের অভিযোগের কথা সামনে আসছে। শিউরে উঠছেন অনেকেই। অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের। তার মধ্য়েই এবার বিস্ফোরক পোস্ট করলেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তিনি ফেসবুকে এই পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন,

    'আর সহ্য হচ্ছে না। টিভি দেখতে বসে কেমন যেন পাগল পাগল লাগছে। মাথা ব্যথা ঠিক রাখা অসাধ্য হয়ে পড়ছে। খুনের পরে খুন, খুনের পরে খুন, ধর্ষণের পরে ধর্ষণ, ধর্ষণের পরে ধর্ষণ । আর এই অধিকাংশ ধর্ষিত এবং খুন হয়ে যাওয়া সবই প্রায় শিশু ও বালিকা।

    আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গ টাও খুনি ধর্ষকদের উল্লাস ভূমি হয়ে গেল নাকি? কিছুই তো বুঝতে পারছিনা! এত সাহস এঁরা পাচ্ছে কি করে ? বারবার শান্ত নিভৃত গৃহকোণে ঝাঁপিয়ে পড়ছে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দিতে!

    মানুষের জীবন ও সম্মানের কানা কড়িও দাম এদের কাছে আর নেই ! এত করে খুঁজছি এদের একটাও কেন আমার হাতের নাগালে আসছে না! এলে মনের সব দাহ যন্ত্রণা মিটিয়ে নিই।

    আর সহ্য করা যাচ্ছে না । অন্তত একটাকে যদি ধরে ফেলতে পারতাম......! হে ঈশ্বর, অন্তত একটা ধর্ষককে আমার সামনে এনে দাও। হে ঈশ্বর-!'

    তিনি একদিকে তৃণমূলের বিধায়ক। সেই সঙ্গেই তাঁর আরও একটা পরিচয় রয়েছে। সেটা হল, তিনি বিশিষ্ট লেখক। লেখার দুনিয়ায় তিনি বহুদিন ধরেই রয়েছেন। তবে এবার তিনি ধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন। তবে এর আগেও তিনি শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। ফের তাঁর এই পোস্টকে ঘিরে বাড়ল শাসকদলের অস্বস্তি। এখানেই থেমে থাকেননি মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তিনি একটি মন্তব্যের জবাবে বলেছেন, বাংলায় বহিরাগতদের তাণ্ডব চলছে আর বাঙালি নাকি তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছে।

    অপর একজন লিখেছেন, ধর্ষককে আপনার সামনে পেলে কী আর করতে পারেন? দেশের আইন তার ব্যবস্থা করুক। বরং ধর্ষককে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করছে ভরসা যোগাচ্ছে তাদের প্রতি আপনাদের রোষ ও ঘৃণা বর্ষিত হোক। তার জবাবে মনোরঞ্জন লিখেছেন, সামনে পেলে এটা অবশ্যই ঠিক আমি নিজেকে সংযত রাখতে পারব না। পরে কী হবে সে দেখা যাবে। একেবারে মনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন মনোরঞ্জন। তবে তাঁর প্রশ্ন, আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গ টাও খুনি ধর্ষকদের উল্লাস ভূমি হয়ে গেল নাকি? এই বাক্যটাই শাসকদলের অস্বস্তি ও বিরোধীদের হাতিয়ার তৈরির পক্ষে যথেষ্ট।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)