পরিবার সূত্রে জানা যায়,অভিযুক্ত বাবুসোনা প্রায় দেড় বছর তাদের মেয়েকে উক্তক্ত করত। মেয়ে একাধিকবার সে কথা বলেছে। অভিযোগ শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট থেকে টিউশন পড়ে ফেরার পথে স্থানীয় যুবক বাবুসোনা তাদের মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ওড়না দিয়ে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এরপর মেয়ে লজ্জায় সে কথা বাড়িতে বলে না। চুপচাপ থাকে। আজ দুপুর ৩ নাগাদ সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানোর চেষ্টা করে। সে সময় পরিবারের লোকেরা দেখে ফেলে। এরপর তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে সব ঘটনা পরিবারকে খুলে বলে। পরিবারের লোকেরা গাইঘাটা থানাতে বাবুসোনার নামে অভিযোগ দায়ের করেন। পরিবারের লোকেরা আরো জানায় ওই অভিযুক্ত যুবক বিবাহিত। তারপরও সে এরকম কাজ করে বেড়াচ্ছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে পরিবার। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিস।
নির্যাতিতার বাবা বলেন, বাড়িতে ছিলাম না। দুপুরে হঠাত্ করে মেয়ে গলায় দড়ি দিতে যায়। আমার বৌমা জিজ্ঞাসা করে কী হয়েছে। তখনই সে গোটা ঘটনা বলে। টিউশন পড়তে গিয়েছিল। একা ফিরছিল।
গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বলেন, গাইঘাটা বিধানসভার মণ্ডল ২ এর সভাপতি আমাকে ফোন করেন। তিনি বলেন, এলাকার এক নাবালিকাকে একটি বিবাহিত ছেলে ধর্ষণ করেছে। ওই কথা শুনে বললাম থানায় গিয়ে ওই যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করব। কোনও রাজনৈতিক রং না দেখে তদন্ত করার অনুরোধ করব। রাজ্যে যে ধর্ষণের সংস্কৃতি শুরু হয়েছে তা ধ্বংস হওয়া উচিত। শুনেছি অভিযুক্ত তৃণমূলের সমর্থক। রাজ্যে এখনও কোনও ধর্ষণের সঠিক বিচার হয়নি। তাই এজিনিস চলে আসছে।