সংবাদদাতা, হলদিয়া: হলদিয়ার ভাইফোঁটা স্পেশাল মিষ্টির কদর এখন জেলা, রাজ্য ছাড়িয়ে প্রবাসেও। হলদিয়ার তরুণ-তরুণী যাঁরা ভিনরাজ্যে, বিদেশে থাকেন, তাঁদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে হলদিয়ার নামী দোকানগুলির মিষ্টি। হলদিয়ার মিষ্টির ভিনরাজ্য ও বিদেশযাত্রায় খুশি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
হলদিয়ার একটি নামী দোকানের অরগ্যানিক রসগোল্লা ও সন্দেশ ভাইফোঁটার বাজার মাতাচ্ছে। ভাইফোঁটায় এবার তাদের চমক ড্রাগন ফ্রুটের কাঁচাগোল্লা। সঙ্গী কোকোনাট ক্রাঞ্চ সন্দেশ। এদের দোসর হয়েছে ব্রাহ্মী সন্দেশ, আমের রসগোল্লাও। ভিন রাজ্যে ভাইফোঁটার জন্য দু’দিন আগেই এই মিষ্টি রওনা দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তির শহর বেঙ্গালুরুতে। হলদিয়ার আর একটি নামী দোকানের কাজু, সন্দেশ ও মহিষ দুধের ক্ষীর দিয়ে তৈরি চকোলেট সরপুরিয়া, কাজু রিমঝিম ভাইফোঁটা ও দীপাবলির জন্য পাড়ি দিয়েছে কেরল ও তামিলনাড়ুতে। প্লেনে চেপে ক্যুরিয়ারে ওই মিষ্টি ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে টেক্সাসের মতো আমেরিকার একাধিক শহরে প্রবাসী বাঙালিদের কাছে।
দীপাবলি ও ভাইফোঁটায় ক্রেতা টানতে বন্দর শহরের নামী মিষ্টির দোকানগুলি কাঁচা ফলের জুস বা শুকনো ফল, চকোলেট, দুধের ক্রিম ব্যবহার করে নতুনত্ব এনে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে। মূলত সন্দেশের স্বাদে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে অভিনবত্বে মাত করতে চাইছে নামী দোকানগুলি। মিষ্টিতে নানা ধরনের উদ্ভাবনী আইডিয়া মিশিয়ে কারিগররা রচনা করছেন মিষ্টি-পুরাণ। হলদিয়ার দুর্গাচকের বীরেন ঘোষের ছেলে বেঙ্গালুরুতে থাকেন। বীরেনবাবু বলেন, পুজো, দীপাবলি ও ভাইফোঁটা এলেই হলদিয়ার মিষ্টি দোকানগুলির লড়াই শুরু হয় কে কত রকমারি মিষ্টি তৈরি করতে পারে। মিষ্টি নিয়ে চলে নানা গবেষণা। আমার ছেলে ফোন করলেই নামী দোকানের অরগ্যানিক মিষ্টি কিনে ক্যুরিয়রে পাঠিয়ে দিই।
হলদিয়ার মঞ্জুশ্রী মোড়ের একটি নামী দোকানের কর্ণধার সর্বেশ্বর রাউত বলেন, ভাইফোঁটার আগেই আমেরিকার টেক্সাসে চার কেজি চকোলেট সরপুরিয়া, কাজু রিমঝিম পাঠিয়েছি। কেরল ও তামিলনাড়ুতেও গিয়েছে ওই মিষ্টি। ভাইফোঁটা স্পেশাল হিসেবেই ওই মিষ্টি তৈরি হয়েছে মহিষের দুধের ক্ষীর, কাজু, আখরোট, পেস্তা দিয়ে। ইদানীং কাজু দিয়ে তৈরি সন্দেশ, চকোলেটের বিভিন্ন মিষ্টির চাহিদা বেশি। সেই জন্য এই আইটেম ভাইফোঁটা স্পেশাল হিসেবে তৈরি করছি। শনিবার দুপুর থেকেই হলদিয়ার নামী দোকানগুলিতে ভাইফোঁটার মিষ্টি কিনতে ভিড় উপচে পড়ে। হলদিয়ার দুর্গাচক সুপার মার্কেটের অন্য একটি নামী দোকানের কর্ণধার অভয়ানন্দ পাত্র বলেন, মানুষের মধ্যে মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁক কমেছে। অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতন। তাই ড্রাগন ফ্রুট, ব্রাহ্মীশাকের জুস দিয়ে অল্প মিষ্টির কাঁচাগোল্লা, সন্দেশে জোর দিয়েছি আমরা। এগুলি ফেস্টিভ স্পেশাল মিষ্টি। • নিজস্ব চিত্র