• কান্দিতে ভাইফোঁটার বাজারে ব্যাপক চাহিদা মন্থল মিষ্টির
    বর্তমান | ০৩ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কান্দি: কান্দিতে বেসনের তৈরি মন্থল মিষ্টির এবারও ভাইফোঁটার বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকল। বিক্রিতে ছানার জিলিপি সহ অন্য মিষ্টিকে পিছনে ফেলেছে এটি। শনিবার ভাইফোঁটার আগের দিনই শহরের সমস্ত মিষ্টির দোকানে মন্থল মিষ্টি দেদার বিক্রি হয়েছে। এই বিশেষ ধরনের মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে অনেকে ভাইফোঁটা করতে পাটনা, বাগডোগরা, কলকাতা, শ্রীরামপুরের মতো জায়গায় পাড়ি দিয়েছেন। শহরের মিষ্টি বিক্রেতারা জানালেন, কয়েকবছর ধরে ভাইফোঁটার বাজারে মন্থল মিষ্টির ব্যাপক চাহিদা থাকছে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শনিবার শহরের বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে সকাল থেকেই ভিড় জমতে শুরু করে। অনেক দোকানে লাইন দিয়ে ক্রেতাদের মিষ্টি কিনতে দেখা গিয়েছে। মন্থল মিষ্টির চাহিদাই সবচেয়ে বেশি ছিল। কান্দির বধূ সীমা পাল বলেন, আমাদের বাড়িতে ঘটা করে ভাইফোঁটা হয়। অনেক ভাইকে ফোঁটা দিতে হয়। সেকারণে একদিন আগেই মিষ্টির দোকানে চলে এসেছি। পাঁচরকমের মিষ্টি ছাড়াও মন্থল মিষ্টি একটু বেশি করে নিয়েছি। মিষ্টি বিক্রেতা রিন্টু দত্ত বলেন, অন্য মিষ্টিও বিক্রি হচ্ছে। তবে মন্থল মিষ্টির এবছরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কান্দিতে এই মিষ্টি খুব ভালো তৈরি হয়। সেকারণে সমস্ত ক্রেতাই মন্থল মিষ্টির খোঁজ করছেন। কারিগর কাঞ্চন দাস বলেন, এই মিষ্টি বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি হয়। প্রথমে বেসনকে মিহিদানার মতন করে গাওয়া ঘিতে ভেজে নিতে হয়। এরপর তা গুঁড়ো করে চিনি ও অন্য মশলা মিশিয়ে মিষ্টি তৈরি করতে হয়। এই মিষ্টিতে ছানা বা চাঁছি থাকে না। মন্থল মিষ্টি তৈরি করা খুব কষ্টের কাজ। তবে এক-একটি মিষ্টির দাম থাকে মাত্র ছয় টাকা। কান্দির নতুনপাড়ার বাসিন্দা মিষ্টু চৌধুরী বলেন, ভাই পাটনায় থাকে। ওকে ফোঁটা দেওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছি। ভাইয়ের প্রথম পছন্দ মন্থল মিষ্টি। তাই একটু বেশি করেই নিলাম। এদিন মিষ্টুদেবীর মতো অনেকেই মন্থল মিষ্টি কিনে শ্রীরামপুর, কলকাতা ও বাগডোগরায় পাড়ি দিয়েছেন। শহরের মিষ্টি বিক্রেতা সুধাময় রুজ বলেন, মন্থল মিষ্টির বাজার এবছরও ভালো। কয়েকটি দোকানে শনিবারই হাজার হাজার টাকার মিষ্টি বিক্রি হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)