নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: রসগোল্লা, চিত্তরঞ্জন ও সন্দেশ রাখা হয়েছে ট্রেতে। সামনে লেখা সুগার ফ্রি। ভাইফোঁটার আগের দিন সেই মিষ্টি কিনতে ব্যাপক ভিড় দেখা গেল বহরমপুরে। মিষ্টি ছাড়া ভাইফোঁটা হয় না। কিন্তু মধুমেহ রোগের জেরে অনেকেরই চিনি দেওয়া মিষ্টি খাওয়া বারণ। তাঁদের জন্য হরেক রকমের সুগার ফ্রি মিষ্টি বানিয়েছে বহরমপুরের বিভিন্ন প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার। দামে চড়া হলেও এই মিষ্টি ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে।
রবিবার ভাইফোঁটা। তার আগে শহরের বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁও সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ভাই-বোনদের জন্য সেখানে থাকছে স্পেশাল মেনু। ভাইফোঁটায় বাড়িতে রান্নার ঝুটঝামেলায় না গিয়ে অনেকেই রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া সারেন। সেজন্য শহরের বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় আগাম টেবিল বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে।
বহরমপুরের রানিবাগানের একটি রেস্তোরাঁয় ভাইফোঁটায় বিশেষ থালার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতে মিলবে বাসমতী চালের ভাত, সোনামুগ ডাল, আলু পোস্ত, ফুলকপির রোস্ট, চাটনি, পাঁপড়। সঙ্গে থাকবে দই-কাতলা কিংবা ভেটকি পাতুড়ি। এছাড়া, বাসন্তী পোলাও ও খাসির মাংসের অর্ডার দেওয়া যাবে। কাঁসার থালায় খাবার দেওয়া হবে। রেস্তোরাঁর কর্ণধার সঞ্চালী মণ্ডল বলেন, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটা-সমস্ত উৎসবে আমরা বিশেষ মেনুর ব্যবস্থা করি। এবারও সেরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিদি ও বোনদের পছন্দমতো বাঙালি খাবারের ভরপুর আয়োজন রেখেছি। বহরমপুরের টেক্সটাইল কলেজ মোড়ে একটি প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানের কর্ণধার অরুণ দাস বলেন, ভাইফোঁটা তো মিষ্টি ছাড়া হয় না। অনেকেই সুগার ফ্রি মিষ্টির খোঁজ করেন। সাধারণ মিষ্টি থেকে সুগার ড্রি মিষ্টির দাম পাঁচ-দশ টাকা বেশি হলেও ভালো বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে প্রায় ৪৫রকম মিষ্টি হচ্ছে। ১০টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা পর্যন্ত দামের মিষ্টি রয়েছে। ক্রেতা অমৃতা রায়চৌধুরী বলেন, ভাই ও দাদাদের জন্য প্রতিবার স্পেশাল মিষ্টির খোঁজ করি। তবে কম মিষ্টির সন্দেশ আমার প্রথম পছন্দের। ভাইফোঁটা লেখা সন্দেশ প্লেটে রাখতেই হয়। সেগুলি সুগার ফ্রি হলে তো ভালোই হয়। আমি দু’রকম সুগার ফ্রি মিষ্টি নিয়েছি। বাকি অল্প মিষ্টির আইটেম বেছেছি। তবে এবার মিষ্টির দাম অনেকটাই বেড়েছে।