সংবাদদাতা, সিউড়ি: দু’বছরের বেশি সময় ধরে বক্রেশ্বর নদীর উপর সেতুটি সংস্কার করা হয়নি। বক্রেশ্বর সতীপীঠ থেকে জেলা সদর সিউড়ির দিকে যাওয়ার প্রধান রাস্তার উপরই এই সেতু রয়েছে। দু’বছর আগে সেতুটিকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। তারপর সেতুটি বন্ধ করে পাশেই একটি অস্থায়ী ‘ভেন্টেড কজওয়ে’(ভাসাপুল) তৈরি করা হয়। ২০২২ সালের ২৭ জুন এই কজওয়ে উদ্বোধন করা হয়েছিল। তারপর থেকে এরাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী সমস্ত গাড়িকে এই কজওয়ে দিয়েই যেতে হয়। বক্রেশ্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছেই রয়েছে নদী। তার উপর এই সেতুটি রয়েছে। দু’বছর আগে জেলা প্রশাসন এই সেতুর উপর দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করে দেয়। পরে সেতুটি দিয়ে সমস্ত যান চলাচলই বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুবরাজপুর থেকে বক্রেশ্বর হয়ে চন্দ্রপুর অবধি প্রায় ১৩ কিলোমিটার রাস্তার উপর এই সেতু রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি বাস, পর্যটকদের বাস, ছোট গাড়ি এই সেতু দিয়েই চলাচল করত। তারাপীঠ, সাঁইথিয়া, বোলপুর, সিউড়ি সহ নানা জায়গার পর্যটকরা বক্রেশ্বর সতীপীঠে ঘুরতে এলে এই সেতু দিয়েই যাতায়াত করতেন। কিন্তু এখন সেতুটি বন্ধ থাকায় কজওয়েটিই যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। সতীপীঠ এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দু’বছরের বেশি সময় ধরে সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বক্রেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদও এবিষয়ে উদ্যোগী হয়নি।সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, বক্রেশ্বরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জেলা প্রশাসন সদা তৎপর। এই সেতু সংস্কারের বিষয়টি প্রশাসন দেখছে। তবে সতীপীঠে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিকল্প কজওয়েটি সবাই ব্যবহার করছেন। সেক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না।