নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: দীপাবলি উপলক্ষে আলোর মালায় সেজে উঠেছে দুর্গাপুর। রাস্তাঘাট থেকে বাড়ি, আবাসন সর্বত্র রঙিন হয়ে উঠেছে। শুধু রাস্তাঘাট নয়, গাছপালা দুর্গাপুরের আকাশও যেন রঙিন। সৌজন্যে বিভিন্ন পুজো কমিটির দামি লেজার লাইট। যার ঝলকানি ছড়িয়ে পড়ছে আকাশের বহু দূর পর্যন্ত। গানের তালে তালে সেই সব লেজার লাইটের ওঠানামা লেজার শোয়ের রূপ নিচ্ছে। পাশাপাশি নানা রঙের ফানুস দুর্গাপুরের আকাশকে মায়াবি করে তুলেছে। আর ঠিক সেখানেই উদ্বেগ, দুর্গাপুর শহরের পাশেই রয়েছে অণ্ডাল বিমানবন্দর। যেখানে দূর দুরান্তের বিমান ওঠানামা করে প্রতিদিন। বিনোদনের জেরে লেজার লাইটের আকাশ দখল ভবিষ্যতে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও। জেলাশাসক জানিয়েছেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অণ্ডাল বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৈলাস মণ্ডল বলেন, লেজার শো করার জন্য পার্শ্ববর্তী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন। আমাদের কাছে কেউ অনুমতি নেয়নি। এখন রাতে বিমান ওঠানামা না করায় কোনও সমস্যা হয়নি। আমরা বিষয়টি আগেই জেলাশাসকের নজরে এনেছি।
জেলাশাসক পোন্নমবলম এস বলেন, অণ্ডাল থানা এলাকায় বিভিন্ন পুজো, বিয়ে সহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানেও লেজার লাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষর কাছে সমস্যার কথা জানতে পেরে অণ্ডাল থানাকে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে দুর্গাপুরের ক্ষেত্রেও সেই নির্দেশ জারি করব।
পশ্চিম বর্ধমানে অণ্ডাল বিমানবন্দর দুর্গাপুর কাজি নজরুল বিমানবন্দর হিসাবেই পরিচিত। বিমান বন্দরটি শহর থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। শহরের কয়েকটি ওয়ার্ডের খুবই কাছ থেকে বিমান উড়ে যায়। বিমানের জোরালো শব্দও শোনা যায়। এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুর শহরে বেপরোয়াভাবে লেজার লাইটের ঝলকানি কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। বিশেষ করে শীতকালে এই বন্দরে ফিরতি বিমানগুলি সন্ধ্যা নাগাদ ল্যান্ড করে। তাই এনিয়ে বাড়তি নজরদারি দেওয়া প্রয়োজন বলে এলাকাবাসীর একাংশ মনে করেন।