• কাটোয়ায় টোটোর দৌরাত্ম্য, নাকাল শহরবাসী
    বর্তমান | ০৩ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: কালীপুজোর আগে কাটোয়া শহরে ভাগীরথীর স্নানের ঘাটগুলিতে ভিড় হয়। প্রতি বছর বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের মানুষ কাতারে কাতারে এসে ভিড় জমান স্নানের জন্য। বুধবার কাটোয়া শহরের গৌরাঙ্গ স্নানের ঘাট চত্বরে টোটোর দাপটে নাজেহাল হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। স্নানের ঘাটে যাওয়ার মূল রাস্তায় প্রচুর টোটো বেপরোয়াভাবে যাতায়াতের ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বাজার করে স্নান সেরে টোটোর দাপটে রীতিমতো দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে প্রচুর মানুষকে। 

    বাসিন্দাদের অভিযোগ, এদিন কার্যত স্নানযাত্রীদের নাকাল হতে হয়েছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিস কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। স্নানের ঘাটে ট্রাফিকের নো-এন্ট্রি ও নজরদারি না থাকার কারণে তীব্র নাকাল হতে হয়েছে বাইরে থেকে আসা পুণ্যার্থীদের। টোটো চলছে শহরের অলিগলি। যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে অনুমতিবিহীন টোটো স্ট্যান্ড। টোটোর দাপটে কাটোয়া শহরের রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হচ্ছে। এতে নজর নেই কাটোয়া পুরসভারও। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, এদিন টোটো চালকরা ইচ্ছামতো ভাড়া নিয়েছে রেলগেট অবধি পৌঁছতে। কেউ ২০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত মাথাপিছু ভাড়া নিয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন কাটোয়া শহরের গৌরাঙ্গ ঘাট ছাড়াও শশ্মানঘাট, বল্লভপাড়া ঘাট সহ একাধিক স্নানের ঘাটগুলিতে কয়েক হাজার মানুষের ভিড় হয়। আর প্রতিটা ঘাটেই রাস্তায় নিয়ন্ত্রণহীনভাবে টোটোগুলি যানজটের সৃষ্টি করেছে। স্নানের ঘাট যেতে মানুষকে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। কেতুগ্রামের বাসিন্দা রাখি থাণ্ডার, জহর প্রামাণিক বলেন, টোটোর দৌরাত্ম্যে এবার অন্য এলাকায় গিয়ে ভাগীরথীর স্নান সারতে হবে। কাটোয়া আর আসা যাবে না। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিস দেখেছি। কিন্তু স্নানের ঘাটে ট্রাফিক কর্মীদের দেখা যায়নি। প্রশ্ন উঠছে কাটোয়ায় ট্রাফিক থানা থাকতে স্নানের দিন কেন ট্রাফিক পুলিসের নজরদারি থাকবে না! যা নিয়ে কাটোয়ার ট্রাফিক ওসি স্নেহাশিস চৌধুরী বলেন, রাস্তায় নো-এন্ট্রি ছিল। কিন্তু স্নানের ঘাটে নো-এন্ট্রি ছিল না।
  • Link to this news (বর্তমান)