সংবাদদাতা, চোপড়া: দুর্গাপুজোয় মেতে উঠলেন চোপড়া ব্লকের আমবাড়ি, হরিনাথগছ, খেরিবাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। প্রতি বছর কালীপুজোর পর চোপড়ায় এই দুর্গাপুজো হয়। শতাব্দী প্রাচীন এই পুজো ঘিরে বসেছে মেলা ও দু’দিনের পালাটিয়া গানের আসর।
পুজো কমিটির সদস্যরা জানান, উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি বিহার, নেপাল সহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন। চারপাশে চা বাগানের একপ্রান্তে স্থায়ী মন্দির। সিংহবাহিনী দুর্গার সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতী থাকেন। মন্দিরের পাশে কয়েকটি ছোট ছোট মন্দির রয়েছে। স্থায়ী মন্দিরে মা দুর্গার পাশাপাশি ৬৪ দেবদেবীর পুজো হয়। অনেকে এখানে মানত করেন।
পুজো ও মেলা কমিটির সভাপতি সাজন সিংহ বলেন, রবিবার রাত পর্যন্ত পালাটিয়া গানের আসর চলবে। স্থানীয় বাসিন্দা প্রেমানন্দ সিংহের কথায়, আমবাড়ির এই দুর্গাপুজোর মেলায় বাঘচাবা ফলের ব্যাপক চাহিদা থাকে। স্থানীয় চাষিদের একাংশ এই ফল চাষ করেন। অবিকল আলুর মতো দেখতে এই ফল চোপড়ায় বাঘচাবা নামে পরিচিত।
পুরনো প্রথা মেনে কালীপুজোর পর এখানে দুর্গাপুজো হয়। ঠিক কত বছর ধরে এই পুজো হচ্ছে, স্পষ্ট করে বলতে পারেন না বাসিন্দারা। হাপতিয়াগছ অঞ্চলের আমবাড়ি এলাকায় কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এই পুজোর আয়োজন করেন। কমিটির অন্যতম সদস্য নকুল সিংহ বলেন, বাঘচাবা ফল কেনার টানে বিভিন্ন জেলা ও রাজ্য থেকে অনেকে মেলায় আসেন। পূর্ব পুরুষদের সময় থেকে গোবর্ধনপুজোর দিন এখানে দুর্গাপুজো করা হয় ।