• জলপাইগুড়িতেই রাজস্থানের গ্রামীণ জীবন, ধামসা-মাদলের তালে শহর মাতাচ্ছেন আদিবাসীরা
    বর্তমান | ০৩ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: কালীপুজোয় ধামসা-মাদলের তালে মাতাচ্ছেন জঙ্গলমহলের আদিবাসীরা। ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলের লাউদহ থেকে এসেছে আদিবাসীদের ১৪ জনের টিম। জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজের মাঠে উদয়ন ক্লাবের পুজো মণ্ডপ প্রাঙ্গন তাঁরা মাতিয়ে রাখছেন আদিবাসী নাচ ও গানে। যা দেখতে উপচে পড়ছে ভিড়। 

    দলের সদস্য শুক্রা সিং, কুমেদ সিং, সৌরভ সিং বলেন, সারা বছর আমরা চাষাবাদ করি। কিন্তু পুজোর সময় একটু বেশি রোজগারের আশায় বিভিন্ন কমিটির ডাকে ধামসা-মাদল, ছৌনাচের টিম নিয়ে মণ্ডপে যাই। অনুষ্ঠান করি। 

    এবারের দুর্গাপুজোয় উত্তরবঙ্গের ফালাকাটায় আদিবাসী নাচ-গান পরিবেশন করেছে ঝাড়গ্রামের এই দলটি। আর কালীপুজোয় জলপাইগুড়িতে তাঁদের হাত ধরে যেন উঠে এসেছে এক টুকরো জঙ্গলমহল। কলেজের মাঠজুড়ে বিশাল মণ্ডপ। থিমের নাম ‘আদিবাসী আঙিনায়’। বিশাল বিশাল থ্রি ডি মূর্তি বসানো হয়েছে। প্রতিমাও এখানে আদিবাসী কন্যার আদলে। 

    অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি সঙ্ঘশ্রী ক্লাবের পুজোর এবারের থিম রাজস্থানের গ্রামীণ জীবন। মরুদেশের মানুষ কীভাবে জীবন কাটায়, তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ভাবনা বাস্তবায়নে রাজস্থান থেকেও এসেছিলেন কয়েকজন শিল্পী। মূলত রাজস্থানে যে জলসঙ্কট, সেটাকেই বিশেষভাবে তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে। 

    শহরের দক্ষিণ পান্ডাপাড়া সর্বজনীন শ্যামাপুজো কমিটির ৫৬ তম বর্ষের থিম ‘অমানিশার অবসানে আলোকের ধারা’। মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে মাটির ভাঁড়, কুলো, নামাবলী, তালপাতার পাখা, গামছা দিয়ে। 

    মালবাজারের প্রমোদনগর কলোনির এসি মিলান ক্লাবের ‘ভূতের অভিশপ্ত ছায়া’ থিম দর্শক টানছে। এখানে জ্যান্ত ভূতের ছড়াছড়ি। মালবাজার ডাকবাংলো ময়দানে সঙ্ঘমিত্র ক্লাবের এবারের থিম কবিগুরুর ‘সহজপাঠ’। মালবাজার স্বর্ণ কালচারাল ক্লাব এবার পুজোয় ডেঙ্গু ও সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ নিয়ে প্রচারে জোর দিয়েছে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)