গত ৬ বছর আগে জেলেখার বিয়ে হয় চন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের দুলাল শেখের সঙ্গে। কিছুদিন ধরে তাঁর দেওরদের সঙ্গে জমি-জায়গা নিয়ে বচসা শুরু হয় জেলেখা ও তাঁর স্বামীর। গ্রামের মুরুব্বিরা সালিশি করে জমির ভাগ করে দেয়। অভিযোগ, জমির ভাগ হয়ে গেলেও জেলেখার নলকূপ এবং শৌচালয়টি তাঁর ছোট দেওরের ভাগে পড়ে যায়। সেই নলকূপ এবং শৌচালয় নিয়ে ফের বচসা শুরু হয়। নলকূপ ও শৌচালয় ব্যবহার করতে বাধা দেয় দেওররা। এরপরই ফের বচসা শুরু হয়। শনিবার সকালে জেলেখার স্বামী দুলাল বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে ফের জেলেখাকে গালিগালাজ শুরু করে তাঁর মেজো দেওর। জেলেখার আত্মীয় বরকত শেখ বলেন, আমার ভাইঝিকে তার শাশুড়ি ও দেওরেরা অত্যাচার করতো। তাকে মারধরও করা হয়েছে এর আগে। এদিন আমরা জেলেখার মৃত্যুর খবর জানতে পারি।
বরকত বলেন, আমরা জেলেখার গলায় রক্তের দাগ দেখেছি। জেলেখাকে দেখে মনে হচ্ছে না সে আত্মহত্যা করেছে। আমাদের অনুমান তাকে খুন করেছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
জেলেখার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। বাড়ি ফিরে তিনি দেখতে পান, ঘরের দরজা বন্ধ। ঘরের দরজা খুলতেই স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। বৈষ্ণবনগর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।