• প্রেমিকের ফ্ল্যাটে তরুণীর রহস্যমৃত্যু, চাঞ্চল্য গরফায়
    বর্তমান | ০৩ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘সিগারেট কিনতে যাচ্ছি’—এই বলে রাত বারোটা নাগাদ প্রেমিকের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়েছিলেন এক তরুণী। কিছুক্ষণ পরেই তাঁর দেহ উদ্ধার হল আবাসনের সিঁড়ির তলা থেকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গরফা থানা এলাকার শহিদ নগরে তরুণীর এহেন রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়াল। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম মধুরিমা রায় (৩৭)। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে গরফা থানার পুলিস। 

    লালবাজার সূত্রে খবর, মধুরিমা বিবাহিত। তবে তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকেন না। ডিভোর্সের মামলা চলছে। গত কয়েকমাস ধরে গরফার এক যুবকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই বিষয়টি জানতেন তরুণীর দিদিও। কালীপুজোর আগের রাত থেকেই প্রেমিকের ফ্ল্যাটে ছিলেন তরুণী। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে যান মধুরিমার দিদি। তরুণীর প্রেমিকের কয়েকজন বন্ধুবান্ধবও সেখানে হাজির ছিলেন। গত দু’দিন ধরেই ফ্ল্যাটে চলছিল দেদার মদ্যপান। কালীপুজো উপলক্ষ্যে শুক্রবার রাতেও আসর বসে ওই ফ্ল্যাটে। ওই পাড়ার কালীপুজো উদ্যোক্তারা খিচুড়ি ভোগ দিয়ে যান। আকণ্ঠ মদ্যপানের পর সেই খিচুড়ি খান মধুরিমা সহ অন্যান্যরা। এরপরেই ফ্ল্যাটের নীচে সিগারেটের আনার জন্য নামছিলেন তিনি। বহুক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও ফ্ল্যাটে ফেরত আসেননি বছর ৩৭ এর তরুণী। সন্দেহের বশে নীচে যেতেই তাঁকে সিঁড়ির কাছে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন প্রেমিক সহ অন্যান্যরা। 

    তাঁরাই মধুরিমাকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল নিয়ে যান। সেখানেই মৃত ঘোষণার পর খবর যায় গরফা থানায়। প্রাথমিকভাবে পুলিসের ধারণা অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্যই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তরুণীর। এরপরেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে তরুণীর দিদি ও প্রেমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শুক্রবার রাতে ওই ফ্ল্যাটে কী হয়েছিল তা জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনা কানে আসার পরই থানায় আসেন মধুরিমার স্বামী। সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর মৌখিক অভিযোগ, মধুরিমার প্রেমিক খুন করেছে। যদিও থানায় কোনও অভিযোগপত্র জমা দেননি তিনি। পুলিসের দাবি, মৃতার শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। যদিও তদন্তপ্রক্রিয়া জারি রেখেছে পুলিস। এদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর পুলিস জানিয়েছে, পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লাগার কারণেই মৃত্যু হয়েছে তরুণীর। কোনও যৌন নির্যাতনের চিহ্ন মেলেনি। 
  • Link to this news (বর্তমান)