উলুবেড়িয়ায় আগুন: প্রাথমিক তদন্তে কাটা তেলের অস্তিত্বই পায়নি দমকল
বর্তমান | ০৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: শুক্রবার উলুবেড়িয়া গঙ্গারামপুর মোড়ে এক বাড়ির মধ্যে বাজি পোড়ানোর সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি এক তরুণী অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার রাতের এই ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকা থমথমে। মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কীভাবে আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ল, তা রীতিমতো ভাবাচ্ছে পুলিসকে। শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থলে এসে আগুন লাগার কারণ নিয়ে তদন্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া। শুক্রবার রাতে অগ্নিদগ্ধ বাড়িটি পুলিস সিল করে দিয়েছে। পাশাপাশি তদন্তের স্বার্থে বাড়িটি ঘিরেও দেওয়া হয়েছে। বাড়ির সামনে বসানো হয়েছে পুলিস পিকেট। এই অবস্থায় ওই বন্ধ বাড়ির বাসিন্দাদের পুরসভার গেস্ট হাউসে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস জানান, বাসিন্দাদের খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হবে।
তবে এলাকায় চাপা উত্তেজনা আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সঠিক তদন্ত হোক। আগুন লাগার সঠিক কারণ বেরিয়ে আসুক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, এখানে কাটা তেল বিক্রি করা হতো। এমনকী শনিবার সকালেও বাড়িটির পাশে তেলের বোতল, ফানেল পড়ে থাকতে দেখা যায়। এইসব জিনিসের উপস্থিতি দেখে এলাকাবাসীদের কাটা তেল সংক্রান্ত অভিযোগ তীব্র হয়। তবে শনিবার ফরেন্সিক দলের আসার কথা থাকলে তারা আসেনি।
আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে উলুবেড়িয়ার দমকল আধিকারিক সঞ্জীব কর জানান, ঘরের মধ্যে মুদিখানার সামগ্রী, ভোজ্য তেলের পাশাপাশি প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। সেই কারণেই আগুন এতটা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। আমাদের প্রাথমিক অনুমান, বাজি পোড়ানো থেকেই এই আগুনের সূত্রপাত। বাড়ির মধ্যে পেট্রল জাতীয় জ্বালানি ছিল– এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে থাকলেও আগুনে পুড়ে যাওয়ায় তার কোনও অস্তিত্ব প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, ঘরে খাটের উপর থেকে ১১ বছরের এক শিশুর এবং মেঝে থেকে বাকি দুই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।