বনগাঁ শ্লীলতাহানি কাণ্ডে ধৃতদের মধ্যে এক তৃণমূল ছাত্রপরিষদ নেতা আছে বলে দাবি করা হয়েছিল। দাবি করা হয়, ধৃত লাল্টু বালা নীলদর্পণ ব্লকের টিএমসিপি নেতা। তবে বনগাঁ সাংসগঠনিক জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি সৌমেন সুতার দাবি করেন, তৃণমূলের সঙ্গে ধৃতদের কোনও যোগ নেই। তিনি এই নিয়ে বলেন, 'ধৃতদের মধ্যে কেউ দলের কোনও পদে নেই। তাঁদের সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। দলের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সংযোগ নেই। আইন আইনের পথে চলবে।'
পাশাপাশি তিনি বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন, 'বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে যেভাবে নারীদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে... খুন ও ধর্ষণ হচ্ছে... সেখানে কোনও দোষী ধরা পড়ে না। কারও শাস্তি হয় না। আর পশ্চিমবঙ্গে যেকোনও ঘটনা ঘটলেই দোষী ধরা পড়ে। তার উপযুক্ত শাস্তিও হয়।' এদিকে টিএমসিপি নেতা দায় এড়ালেও ধৃত লাল্টুর মুক্তির দাবিতে শুক্রবার দুপুরে বনগাঁয় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। দাবি, লাল্টুর আত্মীয় এবং গ্রামের লোকজন সেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিলেন।
অভিযোগ, শুক্রবার রাতে কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় এক যুবতীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে লাল্টু বালার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূচনা হয়। নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার লাল্টু বাগ সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর এরপরই হয় গণ্ডগোলের সূত্রপাত। লাল্টু বালার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় মনোজ বালা ও সুজয় বালা নামে দুই অনুগামীকে। পুলিশের বিরুদ্ধে লাল্টু বালাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ধৃতের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুরা। অভিযোগ করা হয়, লাল্টুদের নামে অভিযোগ দায়েরের পিছনে রাজনৈতিক কোন ষড়যন্ত্র থকতে পারে। দাবি করা হয়, প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় মহিলাদের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। তবে মহিলারা লাল্টুদের নামে শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।